Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সাদুল্লাপুরে ছকু হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

জুন ২৭, ২০২১, ১২:০৫ পিএম


সাদুল্লাপুরে ছকু হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে রিকশা চালক ছকু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে দামোদরপুর ইউনিয়নবাসী।

রোববার (২৭ জুন) দুপুরে সাদুল্লাপুর শহীদ মিনারের সামনের পাকা রাস্তায় মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে নিহত ছকুর ছেলে মোজাম্মেল হক, ভাতিজা একরামুল হক জিতু, সাদুল্লাপুর নাগরিক কমিটির আহবায়ক আবুল বাশার মো. হান্নান পিন্টু, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পাটির সাদুল্লাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড কামরুল ইসলাম, সাদুল্লাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি আহসান হাবীব নাহিদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সাদুল্লাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিলন, সাংবাদিক পিয়ারুল ইসলাম হুমায়ন ও ব্যবসায়ী আজাহার আলী বলেন, হত্যা মামলা দায়ের পর থেকেই আসামিরা বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকিসহ ঘটনা ভিন্ন ঘাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। 

মামলা দায়ের হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতদিনেও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন-জাতীয় কৃষক সমিতির সাদুল্লাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মণ্ডল। 

উল্লেখ্য, দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্যে দামোদরপুর গ্রামের 'প্রভাবশালী দাদন ব্যবসায়ী মন্টু মিয়ার মেয়ে প্রেমের টানে ঘর বাঁধার উদ্দেশ্য রিকশা চালক ছকু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হকের সাথে পালিয়ে যায়।

এর জের ধরে ১৫ মে মন্টু মিয়া গং ছেলের বাবা রিকশা চালক ছকু মিয়াকে আটক রেখে রাতভর শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে। ১৬ মে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ছকুকে  উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

প্রভাবশালীরা গ্রাম্য শালিসীতে জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে ছেলের প্রেমের খেসারত হিসেবে বাবা ছকু মিয়ার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং জরিমানার টাকা আদায়ে ১৫ হাজার টাকায় তার ঘর বিক্রি করে দেয়। 

জরিমানার বাকী ৩৫ হাজার টাকা আদায়ে তার উপর চাপ প্রয়োগ করলে সে ৩১ মে ঢাকায় পালিয়ে ছেলের নিকট চলে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জুন ছকু মারা যায়। তার মৃত্যু স্বাভাবিক হিসাবে চালিয়ে দেয়ার জন্য তার পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে ৪ জুন থানায় অভিযোগ ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করে। 

পরবর্তীতে দাফনের ১২ দিন পর ১৬ জুন ছকুর মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সাদুল্লাপুর থানাকে ২৩ জুন তারিখে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করে।

সেই অনুযায়ী থানা পুলিশ ২১ জুন নির্বাহী মেজিস্টিস্টের উপস্থিতিতে দাফনের ১৮ দিন পর করব থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। ময়নাতদন্ত শেষে পরের দিন আবার লাশ পুনরায় দাফন করা হয়।  

আমারসংবাদ/এআই