Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ছাগল কাণ্ডে কিশোরের মাথায় আট সেলাই 

মাগুরা প্রতিনিধি 

জুন ২৮, ২০২১, ১২:১০ পিএম


ছাগল কাণ্ডে কিশোরের মাথায় আট সেলাই 

মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোয়ার্টারে, ড্রাইভার এবং শ্রমিকের মাঝে সংঘর্ষ একজন ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৮ জুন) সকাল আনুমানিক নয় ঘটিকায় মাগুরা সড়ক জনপথ বিভাগের কোয়ার্টার পারনান্দুয়ালি বরুনাতৈল এলাকায়।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক ১৫ দিন আগে অফিসের ড্রাইভার শহীদুল ইসলাম এর গাড়ির চাকার নিচে পড়ে এই অফিসের আরেক শ্রমিক আজিজ এর ছাগলের বাচ্চা মারা যায়, এবং উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনা অবগত হয়ে মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী উভয়ের মধ্যে নিজের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করে উভয়ের মাঝে আপোষ মীমাংসা করে দেন।

পরবর্তীতে আজ সকাল নয় ঘটিকায় ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম এবং আজিজ শেখ এর মধ্যে গাড়ি সরানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এমন সময় শহিদুল ইসলামের ছেলে বাঁধন শেখ (১৮) মাথায় ইটের আঘাত লাগে তাতেই তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। 

এ সময় আহত বাঁধন শেখ আমার সংবাদকে বলেন, তার উপর অতর্কিত ভাবে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে এবং ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বন্ধ করার জন্য সেখানে আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে তিনি আইনের কাছে বিচার দাবি করেন। 

আহত বাঁধনের পিতা শহিদুল ইসলাম বলেন, পূর্বের শত্রুতার জেরে তার ছেলের উপর এই অতর্কিত হামলা। 

এদিকে অভিযুক্ত আজিজ শেখ (৫২) তিনি বলেন, সর্বপ্রথম ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম এবং তার মধ্যে গাড়ি সরানো কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় তারই এক পর্যায়ে শহিদুল ইসলামের ছেলে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় আমি নিজের জীবন রক্ষার্থে একটি ইটের অংশ ছুড়লে তাতেই তিনি আহত হন।

তবে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে মাগুরা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে অবগত করা হলে তিনি বলেন, পূর্বে উক্ত শ্রমিকদের মধ্যে সামান্য ছাগল এর একটা বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আমি নিজের থেকে ৫০০০/- টাকা দিয়ে তাদের মধ্যে আপসে মীমাংসা করে দিয়েছি কিন্তু এতদিন পর আজ আবার কি হলো তাদের মধ্যে এটাই বুঝতে পারছি না, তবে বিষয়টি অবগত হলাম আমি দেখছি বিষয়টি। 

মাগুরা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, আহত বাঁধন শেখ (১৮) নিজে বাদী হয়ে এক জন আসামি আজিজুল সেখ (৫২) এর নামে মাগুরা সদর থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন, উপস্থিত সাক্ষী আব্দুর রহমান, মোহাম্মদ মান্নান, এবং সিকিউরিটি হুসাইন আহমেদ।

মাগুরা সদর থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে আমার সংবাদকে জানান। 

আমারসংবাদ/কেএস