Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বরগুনায় অপহৃতা উদ্ধার, আটক অপহরণকারীর বাবা-মা 

বরগুনা প্রতিনিধি

জুন ৩০, ২০২১, ১০:৫৫ এএম


বরগুনায় অপহৃতা উদ্ধার, আটক অপহরণকারীর বাবা-মা 

আমতলী উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রাম থেকে অপহৃতা দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী নাঈম মুসুল্লীর বাবা দেলোয়ার মুসুল্লী ও তার মা মুনসুরা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

বুধবার (৩০ জুন) পুলিশ অপহৃতার ২২ ধারায় জবানবন্দি এবং দুই আসামিকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রেরণ করেন। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন অপহৃতার জবানবন্দি নেন। পরে পুলিশকে তার ডাক্তারী পরীক্ষার আদেশ দেন এবং একই সাথে দুই আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের মোঃ নিজাম ঘরামীর মাদ্রাসার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যাকে গত ২৩ জুন চাওড়া চালিতাবুনিয়া গ্রামের দেলোয়ার মুসুল্লীর ছেলে নাঈম মুসুল্লী ও তার দুই সহযোগী অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা নিজাম ঘরামী বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে নাঈম মুসুল্লীকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে ওই মামলায় আমতলী থানার এসআই জ্ঞান কুমার অপহরণকারী নাঈমের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী নাঈমের বাবা আসামি মোঃ দেলোয়ার মুসুল্লী ও মা মুনসুরা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। 

বুধবার পুলিশ অপহৃতা ও গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন অপহৃতার ২২ ধারায় জবানবন্দি নেন। পরে  পুলিশকে তার ডাক্তারী পরীক্ষার আদেশ দেন এবং একই সাথে আসামি দেলোয়ার মুসুল্লী ও মুনসুরা বেগমকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী নিজাম ঘরামী বলেন, আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া কন্যাকে বখাটে নাঈম ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি অপহরণকারী নাঈম ও ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধার করে ২২ ধারার জবানবন্দির জন্য এবং দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশমতে অপহৃতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আমারসংবাদ/কেএস