Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

কেশবপুরে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিল, করোনায়ও থেকে নেই বিল আদায়

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

জুলাই ৬, ২০২১, ১২:৫০ পিএম


 কেশবপুরে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিল, করোনায়ও থেকে নেই বিল আদায়

করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেও থেমে নেই কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের বিল আদায় কার্যক্রম। জরুরি সেবার নামে যথারীতি অফিস খোলা রেখে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। এমনকি বিল দিতে আসা গ্রাহকদের লাইনে দাঁড়ানোর জন্য কোন সার্কেল বা বিত্তও করা হয়নি। ফলে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বের বিধানও। এতে করে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। 

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে কেশবপুর জোনাল অফিসে সাধারণ দিনের মতই বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করতে দেখা গেছে। বিল গ্রহণের জন্য অফিসের ক্যাশিয়ারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও যথারীতি অফিসে হাজির রয়েছেন। তবে, গ্রাহকদের লাইনে দাঁড়িয়ে বিল প্রদানের ক্ষেত্রে অফিস কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

সরকার যেখানে সকলকে ঘরে নিরাপদে থাকতে উৎসাহিত করছে, সেখানে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করায় অনেক গ্রাহকই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস ঘুরে কয়েকজন গ্রাহকের কাছ থেকে জানা গেছে পুর্বের পরিশোদ করা বিলের টাকা ও নতুন বিলের সাথে বাসিয়ে দিয়ে গ্রাহকদের বিল দেওয়ার পর পুরাতন বিলের টাকা পরিশোধের বিল যাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে তারা পুরাতন বিলের পরিশোধের বিল দেখানোর পর পরিশোধ করা বিলের টাকা বাদ দিয়ে নতুন করে বিল দেওয়ার পর বিদ্যুৎ বিলের টাকা পরিশোধ করেন।

পুর্বের পরিশোধ করা বিলের কপি যে সব গ্রাহকের কাছে সংরক্ষিত নেই তাদেরকে পুর্বের মাসের পরিশোদ করা বিলের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে গ্রাহক আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন।

পল্লী বিদ্যুতের কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল লতিফ জানান, বিল নেয়া হচ্ছে। তবে, অফিসে বেশি গ্রাহক বিল দিতে আসছেন না। সর্বোচ্চ ১০, ১৫, ২০ জন করে বিল দিচ্ছেন। তাদের তিন ফুট করে দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। তবে, কোন সার্কেল বা বিত্ত করা হয়নি, তবে করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

বিলে বেশি বা পূর্বের পরিশোধিত বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকে বিল জমা দেওয়ায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে সেটার সমাধানও করা হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনেই বিদ্যুৎ বিল প্রদান ও গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে, কাউকে বিল দিতে জোর করা হচ্ছে না, লাইন সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না।

আমারসংবাদ/কেএস