Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

সিরাজদীখানে ব্রিজের রেলিং ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ)

জুলাই ৮, ২০২১, ০৯:১০ এএম


সিরাজদীখানে ব্রিজের রেলিং ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ব্রিজ নির্মাণের ১৫ বছর না যেতেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের গোবরদী রহমানীয়া মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় অযত্ন আর অবহেলায় উদ্বোধনের ১৫ বছর না যেতেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। 

এরফলে ব্রিজটির নিরাপত্তা রেলিং ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় পথচারীদের। গ্রামবাসী বলছে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় ব্রিজটি টেম্পার চলে গেছে। এর কারণে ব্রিজটি বিভিন্ন অংশে ভেঙে পড়ছে।

বৃহস্পতবার (৮ জুলাই)  বেলা ১১ টায় সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোবরদী গ্রামের মাদরাসা মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজটি অযত্নে-অবহেলায় নিরাপত্তা রেলিংয়ের কংক্রিট পড়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। 

এতে করে ব্রিজের দুই ধারের রেলিং ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ব্রিজটি টেম্পার চলে গেছে। এ ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশষ্কা রয়েছে। এর ফলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা যায়, উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলার মালখানগর-বয়রাগাদী-টেংগুরিয়া পাড়া সড়কের উপর ২০০৫-৬ অর্থ বছরের ২১ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৫ টাকা ব্যায় উপজেলা এলজিইডি অফিস বাস্তবায়ন করে। আর এই ব্রিজ নির্মাণের কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফেয়ার বিল্ডার্স।

গোবরদী গ্রামের পথচারী আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, এই ব্রিজটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি এই ব্রিজটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য। এই ব্রিজটি সংস্কার করে দিলে আরো অনেক বছর চলাচল করতে পারবে এলাকাবাসী।

অটোরিকশা চালক মো. রুবেল বলেন, ব্রিজের দুই পাশের রেলিং এর কংক্রিট পরে রড বের হয়ে গেছে। বয়স্ক ও বাচ্চারা পড়ে যেতে পারে। এর কারণে এই ব্রজটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পাড়ে।

বয়রাগাদী ইউপি ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মো.ইয়াসিন বলেন, এই ব্রিজটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে এবং ব্রিজের দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। এলজিইডি অফিস পরিদর্শন করে এই ব্রিজটি সংস্থার কাজ করে দিলে তবে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

বয়রাগাদী ইউপির চেয়ারম্যান গাজী মো. আলাউদ্দিন বলেন, এই ব্রিজটি প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। অযত্ন আর অবহেলার কারণেই ব্রিজটি ১৫ বছরের মাথায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। এই ব্রিজটি উপজেলা এলজিইডি অফিস রিপাইরিং করে দিলে তবে অনেক বছর আরো ব্যবহার করা যাবে।

উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, এই ব্রিজটি পরিদর্শন করে তারপর আমরা সংস্কার কাজ করে দিব। তবে আর চলাচলে কোনো অসুবিধা হবে না।

আমারসংবাদ/এআই