Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বড়লেখায় ঘরে ঘরে জ্বর-কাশি: পরীক্ষায় অনিহা

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি 

জুলাই ৮, ২০২১, ০১:৫৫ পিএম


বড়লেখায় ঘরে ঘরে জ্বর-কাশি: পরীক্ষায় অনিহা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঘরে ঘরে জ্বর ও কাশি বৃদ্ধি পেলেও ফার্মেসি থেকে এসব রোগের ঔষাধ নিয়ে খেলেও এ অঞ্চলের রোগিরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে অনিহা প্রকাশ করছে। হঠাৎ করে জ্বর-কাশির প্রকোপ দেখা দেয়ায় অনেকেই করোনার আতঙ্কে ভুগছেন।

রোগিরা অনেকে প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিলে ও হাসপাতাল গুলোতে তেমন লক্ষ করা যায়নি। 

জানা গেছে, চিকিৎসা সেবা নিতে যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছেন। অসুস্থদের অধিকাংশের বয়স ২০-৬০ এর মধ্যে, এর মধ্যে শিশুরাও আছে। গত ১৫ দিনে বড়লেখার শতাধিক রোগীকে জ্বর নিয়ে বড়লেখার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ এসেছে। বড়লেখায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ জন। 

চিকিৎসকরা জানান, প্রতিবছর ঋতু পরিবর্তনের শুরুতে গ্রামীণ এলাকায় ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়। অন্য বছরগুলোতে জ্বর-সর্দি ৪-৫ দিনে সেরে গেলেও এবার তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। ৮-১০ দিন পেরিয়ে গেলেও অনেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না। তাপমাত্রা দ্রুত ওঠা-নামা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর-সর্দির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কিন্তু এবারের জ্বরের ধরন অনেকটা অচেনা। দেখা যাচ্ছে শীত শীত ভাব, মাথাব্যথা, শরীরে ও হাড়ে ব্যথা, খাবারে অরুচি, গন্ধহীনতা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, কাশি, অস্থিরতা ও ঘুম চলে যাওয়া, পেটের সমস্যা, বমি ও ডায়রিয়াসহ নানা রকমের উপসর্গ। তাই সঠিক চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন।

বড়লেখা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে দিনে ২৫-৩০ জন জ্বরের রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

যা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ৬০-৭০ ভাগ বেশি। তাদের অনেকের মধ্যে করোনার উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ রোগীর করোনা পরীক্ষায় অনীহা থাকায় তারা করোনায় আক্রান্ত কি না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। 

আমারসংবাদ/কেএস