Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

মোংলায় 'ঢাকা ঘের' দখল নিয়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে

হাফিজুর রহমান, মোংলা (বাগেরহাট)

জুলাই ১৭, ২০২১, ০৩:১০ পিএম


মোংলায় 'ঢাকা ঘের' দখল নিয়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে

মোংলার চৌরিডাঙ্গা এলাকায় প্রায় চারশত বিঘার 'ঢাকা ঘের' নামক একটি চিংড়ি ঘেরের মালিকানা এবং দখল নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় দুইটি গ্রুপ। 

দীর্ঘদিন একটি পক্ষ জবর দখল করে জমির মালিকদের নায্য পাওনা না দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ বর্তমানে ওই ঘেরে দখলে থাকা জমির মালিক ও লিজ গ্রহীতাদের। 

অন্যদিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপটির দাবি তাদের জমি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে চিংড়ি ঘেরটি দখলে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের চৌরিরডাঙ্গা এলাকার খোনকারবেড় মৌজায় প্রায় চারশ বিঘা জমির ঘেরে চিংড়ি চাষ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা টিপু হাওলাদার ও সাইফুল মোল্লা।

তাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী শাহ আলী ও রেজাউল তাদের মালিকানা জমিতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। কিন্ত তারা তাদের কোন টাকা পয়সা দিতেন না। 

এমন পরিস্থিতিতে গত মাসে তারা কয়েকজন জমির মালিক একসাথে হয়ে সমবায় ভিত্তিতে ওই ঘেরে তারা মাছ চাষ শুরু করেন। এতে জবর দখলে থাকা প্রতিপক্ষ গ্রুপটি তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছেন। 

টিপু হাওলাদার বলেন, তাদের চিংড়ি ঘের দখলমুক্ত করতে সহায়তা করায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফ ফকিরকে নানাভাবে হয়রানি করছে প্রতিপক্ষরা। 

এই ঘেরটি লুটপাটের যে অপপ্রচার মেম্বর আরিফের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে তা মিথ্যা বলেও জানান তিনি। 

এছাড়া সালামেরও ওই ঘেরে নিজস্ব কোন জমি নেই। তবে ওই ঘেরে নিজস্ব কোন জমি না থাকলে এর আগে নুরল আমিন ইজারদার লিজ নিয়ে ঘেরটি পরিচালনা করে আসছিলেন। 

এরপর নুরল আমিনকে সরিয়ে শাহ আলী ও রেজাউল ঘেরটি পরিচালনায় করাকালে দুই বছর জমির মালিকদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিলেও পরবর্তী তিন বছরে তা না দেয়ায় ঘেরটিতে ভাঙন ধরে। 

অন্যদিকে জমির মালিক আব্দুল ওয়াদুদ শেখ, ওয়াদদু শেখের জামাই রেজাউল ও ভাইপো শাহ আলী বলেন, ওই চিংড়ি ঘেরে তাদের মালিকানা জমি রয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে মাছ চাষ করতে পারছেন না। 

প্রতিপক্ষ টিপু হাওলাদার ও সাইফুল মোল্লার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের মালিকানা স্বত্ব না দেয়ার জন্যই এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা-রামপাল সার্কেল) মো: আসিফ ইকবাল বলেন, ওই চিংড়ি ঘেরের মালিকানা নিয়ে দ্বন্ধের জেরে দুইটি গ্রুপ ইতিমধ্যে মারামারীর ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমারসংবাদ/এআই