Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পায়নি আ.লীগ নেতার হাতে শ্লীলতাহানীর শিকার নারী 

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 

জুলাই ১৮, ২০২১, ১২:৪৫ পিএম


অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পায়নি আ.লীগ নেতার হাতে শ্লীলতাহানীর শিকার নারী 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দারুচ্ছালাম রফিক এক নামে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এক নারীকে টানা হেছড়া করে বিবস্ত্র করত শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হারবাং রাস্তার মাথায় ঘটেছে এ ঘটনা। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বত্রে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আইনী সহায়তা চেয়ে থানায় দুই বার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি আজবাহার বেগম (৪১) নামে শ্লীলতাহানির শিকার ভূক্তভোগি ওই নারী। 

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা হারবাং ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহতাবুর রহমান ও এসআই গোলাম মোরশেদ উল্টো ওই নারীকে অভিযুক্তের পক্ষে গিয়ে নানাভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। 

অভিযোগকারী আজবাহার বেগম হারবাং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শিবপাহাড় গ্রামের তহিদুল আলমের স্ত্রী এবং অভিযুক্ত রফিক হারবাং ৪নং ওয়ার্ডের বাজারপাড়া গ্রামের ছৈয়দ উল্লাহ’র পুত্রসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন।  

অভিযোগে জানা গেছে, ১০জুলাই সন্ধ্যা আজবাহার বেগম তার পুত্রবধূ নাহিদা আক্তার (২০)কে সাথে নিয়ে পায়ে হেটে নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে স্বর্ণ ক্রয়ের জন্য যাওয়ার পথে অভিযুক্ত রফিক তার সহযোগিদের নিয়ে পথরোধ করে। ওই সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আজবাহার বেগমকে প্রকাশ্যে চুলের মুঠি ধরে টানা-হেছড়া করে শ্লীলতাহানী করে। এক পর্যায়ে ভ্যানেটি ব্যাগে তাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের ৩৩হাজার ৭৫০ টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে চলাচলরত পথচারী ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। শ্লীলতাহানীর দৃশ্যটি স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সি.সি ক্যামরা ও মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্রও ধারণ হয়।  

শ্লীলতাহানির শিকার আজবাহার বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে হারবাং ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহতাবুর রহমানকে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অভিযুক্তের পক্ষে গিয়ে অভিযোগকারীকে শাসনের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ১৬ জুলাই নতুন করে আবার অভিযোগ দায়ের করলে তা হারবাং ফাঁড়ির নবাগত ইন্সপেক্টর আজহার উদ্দিনের কাছে প্রেরণ করেন। উক্ত অভিযোগটি ফাঁড়ির এসআই গোলাম মোরশেদকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে তিনিও উল্টো ভূক্তভোগি নারীকে নানাভাবে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ করেন। 

এসআই গোলাম মোর্শেদ অভিযোগের বিষয় নিয়ে জানান, ওই নারীকে মারধর করা হয়েছে। শ্লীলতাহানীর বিষয়টি চোখে পড়েনি। তবে মহিলাটি অভিযুক্ত দারুচ্ছালাম রফিকের কুসুম চেপে ধরেছে। কেন, কুসুমে হাত দিয়েছে জানতে চাইলে তার উত্তর দিতে পারেননি এসআই গোলাম মোর্শেদ। 

এদিকে, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিরানুল ইসলাম মিরান। 

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মো: যুবায়ের বলেন, অভিযোগ প্রয়োজনে আরো অধিকতর তদন্ত করে দেখা হবে। নারী শ্লীলতাহানীর শিকার হয়ে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আমারসংবাদ/কেএস