Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

লকডাউনে সিলেট-৩ উপনির্বাচনের ভোট

ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি

জুলাই ১৮, ২০২১, ০৩:২৫ পিএম


 লকডাউনে সিলেট-৩ উপনির্বাচনের ভোট

সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা মাঠে নামতেই প্রচারণায় বাগড়া দিয়েছিল করোনা সংক্রমণ। 

করোনার বিস্তাররোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে গত ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত উপ-নির্বাচনে সবধরনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। 

তবে এবার কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মধ্যেও আগামী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন। করোনাভাইরাস ঠেকাতে লকডাউন চললেও এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণে কোনো বাধা নেই বলে রোববার (১৮ জুলাই) এক আদেশে এমনটি জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে আদেশের চিঠি পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রেজাউল  ইসলাম।

এতে বলা হয়েছে- নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩১ সিলেট-৩ শূন্য আসনের নির্বাচনের দিন ধার্য করেছে এবং ২৮ জুলাই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকা (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) বিধি-নিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে আগামী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩১ সিলেট-৩ আসনের নির্বাচন, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম এবং এতদসঙ্গে সংযুক্ত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস-স্থাপনা নির্দেশক্রমে এ বিধি-নিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হলো।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের পরপর আওয়ামী লীগের দলীয় তিন তিনবারের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর পর গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। 

দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সিলেট ৩ আসনে মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩০৯ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১৮ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৯১ জন।

মোট ১১ বার নির্বাচন হওয়া এই আসনে আওয়ামী লীগ ৪ বার, বিএনপি ৩ বার এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী ৩ বার এই আসন থেকে জয়লাভ করেন।

এদিকে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে প্রচারণা। নির্বাচনকে সামনে রেখে করোনা মহামারির মাঝেও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। 

এখানে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে তাঁরা উন্নয়নমূলক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা গ্রামে গ্রামে উন্নয়নমূলক কথা বলে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

হাটবাজারের চায়ের দোকানগুলো নির্বাচনী আলাপে মুখর হয়ে উঠেছে। করোনার এ পরিস্থিতিতে প্রচারে প্রার্থী ও সমর্থকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রচারণা চালানোর কথা থাকলেও কেউই তা মানছেন না। জনসমাগম করে করছেন সভা, বৈঠক ও গণসংযোগ।

সিলেট-৩ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন-হাবিবুর রহমান (নৌকা), আতিকুর রহমান (লাঙ্গল), জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব) ও শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি)।

আমারসংবাদ/কেএস