জুলাই ২১, ২০২১, ১১:১৫ এএম
পাহাড়ের খাঁজে প্রকৃতির সাথে মিশে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আস্ত হাতি, জিরাফ, ড্রাগণ, হরিণসহ নানা বন্যপ্রাণীর জ্যান্ত প্রতিকৃতি। খালি চোখে দেখলে আকস্মাত মনে হবে পাহাড়ের বুক জড়িয়ে আছে যেনো প্রকৃত বিনোদন জাগানিয়া আলাদা এক নিরেট প্রকৃতি।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতে শিশুদের জন্য নির্মাণ করা নতুন এ বিনোদন কেন্দ্রটি। সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এলজিএসপি প্রকল্পের অধীনে প্রায় দশ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এ বিনোদন পার্ক।
নানান প্রাণির জ্যান্ত প্রতিকৃতি ছাড়াও পার্কটি সাজানো হয়েছে দোলনাসহ বিভিন্ন খেলনা রাইড দিয়ে। টেকসাই সীমানা প্রাচির ছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা। প্রতিদিন বিকেল হলেই স্থানীয়দের কাছে আকর্ষণের বাড়তি মাত্রা হয়ে উঠে এটি। বাড়ে উৎসাহীদের ভিড়।
[media type="image" fid="133692" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]
ভূমিদস্যুদের কবল থেকে এ সরকারি ভূমিটি উদ্ধার করে নানান প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এ দ্বীপে সরকারি উদ্যোগে প্রথমবারের মতো শিশুদের জন্য বিনোদনযোগ্য এ পার্কি গড়ে তোলা হচ্ছে। নাম নির্ধারণ হয়েছে- শেখ রাসেল শিশু পার্ক।
স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের উৎসাহে এমন নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেমেছেন শিল্পপ্রেমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান। সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ।
[media type="image" fid="133691" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]
এ প্রকল্পটির মধ্য দিয়ে নতুন করে মহেশখালীবাসী প্রথমবারের মতো বিনোদন পার্কের সাথে পরিচিত হতে যাচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হবে এ বিনোদন কেন্দ্রটি। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক প্রধান অতিথি থেকে তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। ৪০ শতক জায়গা জুড়ে শিশুপার্কটি গড়ে তোলা হচ্ছে।
মহেশখালীর প্রতিটি ইউনিয়নে এমন শিশুপার্ক নির্মাণ করার চেষ্টা চালছে বলে জানান ইউএনও মাহফুজুর রহমান। তাছাড়া পাহাড় ডিঙিয়ে পার্কে প্রবেশের দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি ও ফটক স্থাপন, বৈদ্যুতিক রাইডসহ এ পার্কে আরও বিনোদন অনুষঙ্গ যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।
[media type="image" fid="133693" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]
অনেকটা ইতিহাসের স্মারক হিসেবে মহেশখালীর প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রাণ-প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো এ বিনোদন কেন্দ্রটিতে মুক্ত মনে বিনোদিত হবে শিশু-কিশোর। ছুঁয়ে যাবে বিনোদনপ্রিয় বয়সীদের মনও। এমনটি প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আমারসংবাদ/এআই