সিলেট প্রতিনিধি
জুলাই ২৬, ২০২১, ০৮:১০ এএম
সিলেট বিভাগে অতিমারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। সরকারি বেসরকারি কোনও হাসপাতালেই মিলছে না শয্যা। কানায় কানায় পূর্ণ আইসিইউ বেড। আছে অক্সিজেন সংকটও। সিরিয়াল রোগী নিয়ে হাসপাতালের ফটকগুলোতে বেড খালি হওয়ার অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। কেউবা রোগী নিয়ে ছোটাছুটি করছেন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে।
সবশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে সিলেট বিভাগে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩১ জনে। মহামারি শুরুর পর থেকে এটিই সিলেটে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে সিলেটে একদিনে সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয়।
মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া সুনামগঞ্জের ৩ জন ও হবিগঞ্জের একজন রয়েছেন।
একইসাথে সিলেটের চার ল্যাবে ১ হাজার ৩৪৩ জনের নমুনার পরীক্ষা করে ৫৬৪ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সিলেট জেলার ২০৮ জন, সুনামগঞ্জের ১০৭ জন, হবিগঞ্জের ১৪৬ জন, মৌলভীবাজারের ৬২ জন ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ।
সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয় (স্বাস্থ্য) থেকে পাঠানো দৈনিক প্রতিবেদন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ পর্যন্ত এ বিভাগে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩১ জন। এর মধ্যে সিলেটের ৫০১ জন, সুনামগঞ্জে ৪৭ জন, হবিগঞ্জে ২৯ জন ও মৌলভীবাজারে ৫৩ জন। এছাড়াও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।
বিভাগের চার জেলা মিলে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ২১০ জন। এদের রোগী বেশি সিলেট জেলার ২০ হাজার ১৫৮ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৪ হাজার ৮৬ জন, হবিগঞ্জে ৪ হাজার ২২৭ জন, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ৭৭৬ জন এবং সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৯৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪২৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ২৮ হাজার ৮৪৩ জন।
আর আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৭ জন। সব মিলিয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৭৯ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৬৩ জন, সুনামগঞ্জে ৫৬ জন, হবিগঞ্জে জেলার ৩০ জন ও মৌলভীবাজারে ৩০ জন।
আমারসংবাদ/কেএস