এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট
জুলাই ২৬, ২০২১, ১১:৫৫ এএম
লালমনিরহাট পৌর এলাকার মাঝা পাড়ায় পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে মমিনা বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে মাঝাপাড়া এলাকার রমযান আলীর ছেলে পল্লি চিকিৎসক গোলাম রব্বানীকে সন্দেহ করছে এলাকাবাসী।
এই ঘটনার পর রোববার (২৫ জুলাই) লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে মৃত আঃ জলিলের বড় ভাই আঃ রশিদ একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বাদী আঃ রশিদ বলেন, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের শাহার আলীর পুত্র আঃ জলিল ০৮বছর যাবত তার শ্বশুর বাড়ী তিনদিঘী মাঝাপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন। মৃত জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগমের সঙ্গে তিনদিঘী এলাকার পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানীর পরকীয়ায় সম্পর্ক গড়ে উঠে।
মমিনা বেগমের পরকীয়া সম্পর্কে বাঁধ সাধে স্বামী আঃ জলিল, তাই ভাই আশরাফুল ইসলাম ও প্রেমিক গোলাম রব্বানীকে নিয়ে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা আঁটে। পরিকল্পনা মাফিক ঈদের পরের দিন ২২ জুলাই রাতে স্বামী আঃ জলিলের খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়। এতে আঃ জলিল অচেতন হলে তাকে মারধর করা হয়। এরপর আঃ জলিল ওইদিন রাতই মারা যান।
পরের দিন সকালে অতি গোপনভাবে মৃত জলিলের গোসল সেরে খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে আত্মীয়স্বজনকে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। সকাল দশটা নাগাদ মৃতঃ জলিলের ভাই আঃরশীদ ও অন্যান্য আত্মীয় মাঝাপাড়া আসেন। তারা মৃত জলিলের শরীরে ও নাকে রক্ত দেখতে পান।
তারা জলিলের মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে পল্লি চিকিৎসক গোলাম রব্বানি বলেন, আপনার ভাইয়ের হার্ট এট্যাক হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তাই দ্রুত লাশ দাফন করতে হবে।
লাশ দাফনের পরে মৃতঃ জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগমকে তার স্বামীর ভিটায় নিয়ে যেতে চাইলে স্ত্রী মমিনা বেগম অস্বীকৃতি জানায় এবং সকলের সামনে সে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী কে বিয়ে করার কথা বলে, সে কোথাও যাবেনা সাফ জানিয়ে দেয়।
এই ঘটনায় মৃত জলিলের পরিবারের লোকজনের মধ্যে সন্দেহ জাগে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জলিলের পিতা সাহার আলী পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহলম জানান, মৃত জলিলের ভাই আঃ রশিদের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে আদালতের নির্দেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমারসংবাদ/এআই