কলাপাড়ায় অবৈধ খাল অপসারণের দাবিতে কৃষক সমাবেশ 

সাম্প্রতিক সময়ে অতি বর্ষণের ফলে উপকূলীয় জনপদ কলাপাড়া উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। নদী-খাল-বিল টইটুম্বুর, কৃষকের ফসল বিনষ্ট, জলাবদ্ধতার কারণে আমন মৌসুমের চাষাবাদ হুমকির মুখে। তাই কলাপাড়া উপজেলার সকল সরকারি খালের অবৈধ বাঁধ কেটে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের দাবিতে কলাপাড়ায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। 

রোববার (১ আগস্ট) বেলা ১১ টায় শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের মনোহারী পট্টিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শিক্ষক তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক জি এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমরেড নাসির তালুকদার সাধারণ সম্পাদক কমিউনিস্ট পার্টি ও সদস্য বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, আহ্বায়ক বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা। সামাজিক সংগঠক ও গণমাধ্যমকর্মী নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন), সদস্য বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা। এছাড়াও কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসমাইল প্যাদা, ছাবের হোসেন রাড়ী সহ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় বক্তারা বলেন, কলাপাড়ার কৃষক, শ্রমিক, দিন মজুরসহ সাধারণ মানুষ আজ অবৈধ দখলদার, ভূমিলুটেরা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ নানা অনিয়মের জালে আটকে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। 

বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি কলাপাড়ায় টানা ৭ দিনের বর্ষনে জলাবদ্ধতায় আমন মৌসুমের বীজতলা পঁচে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই কৃষকদের পুনঃরায় আমন মৌসুমের চাষাবাদে ফিরিয়ে আনতে বিনামূল্যে সার বীজ কীটনাশক ও সুদ মুক্তভাবে ঋণ প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোরালো আবেদন জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

এ সময় তারা আরও বলেন, সমস্ত উপজেলার কৃষকদের অভিযোগ, সকল সরকারি খাল লিজ নিয়ে ও অবৈধ ভাবে মৎস্যচাষীরা খালে বাদ দিয়ে জাল দিয়ে আটকে সরকারি স্লুইসগেট দখল করে মাছ চাষ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে কৃষকদের অপুরনীয় ক্ষতি করে যাচ্ছে। তাই কলাপাড়া উপজেলার সকল কৃষকদের দাবি অতিদ্রুত সকল খাল ও স্লুইসগেট দখল মুক্ত করে কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। 

তারা আরোও বলেন, যদি কৃষকের দাবি মানা না হয় তবে লকডাউন সিথিল হলে তারা লাগাতার কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। সর্বশেষ সভাপতির বক্তব্যের মধ্যদিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। 

আমারসংবাদ/কেএস