বদরগঞ্জ প্রতিনিধি:
আগস্ট ৬, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম
রংপুরের বদরগঞ্জে স্ত্রীর শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আতিকুর রহমান (৩৭) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে- এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। আতিকুর রহমান মাদকাসক্ত ছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কিসমত বসন্তপুর গ্রামে। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মর্গে পাঠায়। সে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় ইউডি মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) সিফাত ই রাব্বান।
পুলশি ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ছোট বেলায় আতিকুর রহমানের মায়ের মৃত্যুর পর পারিবারিক অশান্তির মধ্যে বড় হয় সে। নিজ এলাকায় তিনি ছিলেন পল্লী চিকিৎসক। এরমধ্যে সে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। গত বৃহস্পতিবার তার বাবা ফজলুল হকের সঙ্গে আতিকুরের ঝগড়া হয়। ওই রাতে নিজ শয়ন কক্ষে গলায় স্ত্রী মমতাজের শাড়ি পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ থানায় নেয়। শুক্রবার তাঁর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলনে, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করা যায়নি। এ কারণে মরদহে উদ্ধার করে রংপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আমারসংবাদ/এমএস