রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আগস্ট ৯, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরায় দেবরের দেয়া আগুনে জ্বলসে যাওয়া সেই স্বামী পরিত্যক্তা নারী পারভীন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার (৯ আগস্ট) ভোর ৪ টায় ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পারভেীনের ছোট ভাই মোঃ আকরাম হোসেন।
জানা যায়, ৭ আগস্ট করোনা টিকা দিতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পারভীনকে বাবার বাড়ি থেকে মরজাল বাসস্ট্যান্ড ডেকে আনে ননদ তাসলিমা বেগম। পরে তাকে সিএনজি চালিত অটোরিকসায় তুলে রাত ১১টায় রায়পুরা-বারৈচা সড়ক সংলগ্ন লোচনপুরে একটি বাঁশঝাড়ের পাশে নিয়ে আসে।
সেখানে পূর্ব থেকেই উৎপেতে থাকা দেবর আলী হোসেন, ননদের ছেলে শাহরিয়ার ও রহিমা বেগম মিলে হত্যার উদ্দ্যেশে পারভীনের শরীরের কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় অগ্নিদগ্ধ পারভীনের আত্ম চিৎকারে আশপাশের লোকেরা ছুটে এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাাতলের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর আগে উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের জিরাহী এলাকার সাফিউদ্দিন মুন্সির ছেলে জাকির হোসেনের সঙ্গে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের সোবাহানপুর এলাকার দানা মিয়ার মেয়ে পারভীন বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দশ বছরের একটি কন্যা রয়েছে। স্বামী প্রবাসে থাকায় শশুরবাড়ির লোকেরা কারনে-অকারনে পারভীনকে নির্যাতন করে আসছিল। গত এক বছর আগে দেবর আলী ওই গৃহবধূর মেয়ে ঝিমিকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।
পরে এ ঘটনায় দেবর ও শশুরকে আসামি করে মামলা করেন পারভীন। এরপর মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় শশুরবাড়ির লোকেরা।
মামলা তুলে না নেওয়ায় স্বামীর সঙ্গে পারভীনের ডির্ভোস হয়ে যায়। এরপর মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই ছিলেন তিনি। রোববার দুপুরে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মো. আকরাম হোসেন বাদী চারজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই নারীর সাবেক দেবর সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ভুক্তভোগীর ভাই চারজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
আমারসংবাদ/এআই