Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

ভূঞাপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ০৬:৪৫ এএম


ভূঞাপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

গত ২৪ ঘন্টায় ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি ৮ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে যমুনা নদীর পূর্ব পাড় তলিয়ে কয়েকদিন ধরেই নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বন্যার পানি। বানের স্রোতে রাস্তঘাট ও ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। 

প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের জমি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। চরম দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি এসব মানুষ। দেখা দিয়েছে চর্মরোগ সহ পানিবাহিত নানা রোগ বালাই। অনেকে আবার বসতভিটা ছেড়ে রাস্তার পাশে উঁচু স্থানে ও বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী কষ্টাপাড়া, বেপারী পাড়া, খানুরবাড়ি, ভালকুটিয়া, ঘোষপাড়া, স্থলকাশি, চিতুলিয়া পাড়া সহ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শত শত একর ফসলের জমি। সেইসাথে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী তীরবর্তী এলাকায় লোকজনের। ইতিমধ্যে উপজেলার নদী তীরবর্তী বেপারী পাড়া, ঘোষপাড়া, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়া পাড়ার উঁচু সড়ক সহ অসংখ্য ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। 

বন্যা কবলীত এসব মানুষ জানান, যমুনা পূর্ব পাড়ে স্থায়ী বাঁধ না থাকায় পাড় তলিয়ে আমাদের এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করে ফসলের জমি সহ বসতভিটা পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন আমাদের বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তার পাশে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারি বেসরকারিভাবে কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগীতা পাইনি। বর্ষা আসলেই আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থায়ী বাঁধ না হলে প্রতি বছরেই বন্যার পানিতে আমাদের ভাসতে হবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে যমুনা সহ জেলার সব কয়েকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে নিম্নাঞ্চল সহ তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের জমি। বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ঘাট ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করছে বন্যার পানি। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে। 

আমারসংবাদ/এআই