Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

মির্জাগঞ্জে শ্রেনীকক্ষ সংকটে ১০ প্রাথমিক বিদ্যালয়

কামরুজ্জামান বাঁধন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ০৯:০৫ এএম


মির্জাগঞ্জে শ্রেনীকক্ষ সংকটে ১০ প্রাথমিক বিদ্যালয়

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে জরাজীর্ণ ভবন ও শ্রেনীকক্ষ সংকটে দশটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জরাজীর্ণ ও শ্রেনীকক্ষ সংকট থাকায় ওই সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। 

আর জরাজীর্ণ ও ঝুকিঁপূর্ণ এসকল বিদ্যালয়ে পাঠদান নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতংক দেখা দিয়েছে।

এদিকে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মির্জাগঞ্জ উপজেলায় চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষ পাঠদান উপযোগী করার জন্য পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, জরাজীর্ণ শ্রেণীকক্ষ সংকট থাকা বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে উত্তর চত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভিকাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুদ্রা কালিকাপুর হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিসমত ছৈলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ গাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব বাজিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর গাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ সুলতানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও করমজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ সকল বিদ্যালয়ের মধ্যে সরেজমিনে সুদ্রা কালিকাপুর হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দখা যায়, বিদ্যালয় ভবনটি ২০১৯ সালে পায়রা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরলে ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়। এরপর বেড়িবাঁধের বাহিরে জনৈক গাজী আব্দুস সালামের একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। বিদ্যালয়টি বাঁধের বাহিরে থাকায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। ঘরের ভিতর কয়েকটি বেঞ্চ ও ২টি টেবিল ছাড়া অন্য কান আসবাবপত্র দেখা যায়নি। এমতাবস্থায় এখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে। 

এছাড়া উত্তর চত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ পাকা ভবনটি কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ দিয়ে ওই ভবনের পাশে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানেও রয়েছে  শ্রেণিকক্ষ ও অফিস কক্ষের সংকট।

উত্তর চত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. সোলায়মান ও বিথী আক্তারের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, স্যারদের মাধ্যমে জানতে পারছি ১২ সেপ্টেম্বর (আজ) বিদ্যালয় খোলা হবে। শ্রেনী কক্ষের সংকটের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করা দুস্কর হবে।

সুদ্রা কালিকাপুর হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক গাজী মো. শাহাদৎ জানান, দীর্ঘ দেড় বছর পর বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে। বিদ্যালয় ভবন না থাকায় অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

ওই বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক দিল আফরোজা জানান, পায়রা নদী গর্ভে পাকা ভবনটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় বাঁধের বাহিরে অন্যের পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনায় খুবই অসুবিধা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই জমি অধিগ্রহন পূর্বক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, জরাজীর্ণ ভবনগুলো সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই কিছু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যে সকল বিদ্যালয়ে পাকা ভবন নেই সে সকল বিদ্যালয়ের তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

আমারসংবাদ/এআই