Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

ফেঞ্চুগঞ্জে অবৈধ রেলক্রসিং যেন 'মরণফাঁদ'

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৫:৫০ এএম


ফেঞ্চুগঞ্জে অবৈধ রেলক্রসিং যেন 'মরণফাঁদ'

অরক্ষিত ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটে চলেছে। অথচ এগুলো সুরক্ষিত করার কোনো তাগিদ নেই। সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় রেলক্রসিং রয়েছে ১০টিরও বেশি। রেলক্রসিংগুলোর বেশিরভাগই অনুমোদনহীন এবং অবৈধ। 

এসব অবৈধ রেলক্রসিংগুলো এখন ‘মরণ ফাঁদ’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে। যদিও স্থানীয় সূত্রের দাবি অনুমোদনহীন এবং অবৈধ এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। তবে এসব রেলক্রসিংয়ের সঠিক কোনো তথ্য নেই রেলওয়ের কাছেও।

সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ক্রসিং ঘুরে দেখা গেছে, জানমাল রক্ষায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দায় সেরেছেন লেভেল ক্রসিংগুলোতে সাবধানতা বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেই। ঝুলছে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ‘সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। 

এদিকে ফাঁকা পেয়ে রেললাইনের ওপর দিয়ে তৈরি রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শতাধিক যানবাহন।

রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সংস্থা বা কোন কর্তৃপক্ষ রেল লাইনের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হলে রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে রেল ক্রসিংয়ের উভয় পাশে গেট নির্মাণসহ রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ বছরের জন্য কম পক্ষে তিনজন গেটরক্ষীর মজুরি মজুদ রাখতে হয়। কিন্তু ফেঞ্চুগঞ্জে রাস্তা তৈরিতে মানা হচ্ছে না এ নিয়ম। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব রাস্তাকে অবৈধ বা অনুমোদনবিহীন বললেও বন্ধ করতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।

এদিকে মাইজগাঁও রেলস্টেশনের সূত্র বলছে, এই রেলস্টেশনে অধীন রয়েছে ছয়টি রেলক্রসিং। এরমধ্যে দুটো অনুমোদন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। 

কিন্তু অনুসন্ধানে ও স্থানীয় সূত্র বলছে ১০ টির ও বেশি  অনুমোদনহীন রেলক্রিসং রয়েছে সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। কিন্তু এর সঠিক কোন তথ্য নেই রেলওয়ের কাছেও। তাছাড়া এসব রেলক্রসিংয়ে থাকে না কোনো গেটম্যান। ফলে যখন-তখন যানবাহন রেললাইনে উঠে যাচ্ছে, এতে বাড়ছে রেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি। 

ফেঞ্চুগঞ্জ মাইজগাঁও স্টেশনমাস্টার মনির হোসেন বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ও মাইজগাঁওয়ে ছয়টি ক্রসিং রয়েছে। এরমধ্যে দুটো অনুমোদিত। বাকি চারটির কোনো অনুমোদন নেই।

[media type="image" fid="144144" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

এদিকে সিলেট বিভাগের রেলপথ প্রকৌশলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমার সংবাদকে বলেন, মানুষ ইচ্ছামতো তাদের প্রয়োজনে রেলপথের ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে। এতে দুর্ঘটনা বাড়লেও কোনোভাবেই লাগাম টানা সম্ভব হয় না। 

এ বিষয়ে সিলেট রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমানকে প্রথমে কল দিলে তিনি রিসিভ করে ৫ মিনিট পর কথা বলবেন বলে রেখে দিলে পরে অন্তত ১০ বার কল দিলেও আর রিসিভ করেননি।

আমারসংবাদ/এআই