Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

অনুপস্থিত থেকেও বেতন উত্তোলনের অভিযোগ

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

অক্টোবর ৪, ২০২১, ১০:০৫ এএম


অনুপস্থিত থেকেও বেতন উত্তোলনের অভিযোগ

নীলফামারীর জলঢাকায় অনুপস্থিত থেকেও বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তিনি ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্ত্রী। অভিযোগটি উপজেলার খালিশা খুটামারা দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষিকা ওয়াহিদ নাছরিনের বিরুদ্ধে। সভাপতির স্ত্রী হওয়ায় কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতনভাতা তুলছেন তিনি। 

তবে তিনি পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্ত্রী হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নারাজ মাদ্রাসার সুপারসহ পরিচালনা কমিটি। এমনকি দীর্ঘদিন মাদ্রাসায় অনিয়মিত যাতায়াত করলেও ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারিরা। তবে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের  কাছে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাননি। 

গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার সকল শিক্ষক,কর্মচারি উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত সভাপতির স্ত্রী ওয়াহিদ নাছরিন। 

তার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় দুই দিনের ছুটিতে আছেন। তবে শিক্ষক হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, সকল নিয়মনীতি তো আমাদের বেলায়, সভাপতির স্ত্রী বলে মাফ। 

জানা যায়, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর রুস্তম আলী ও তার স্ত্রী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা ওয়াহিদ নাছরিন রংপুরের বাসায় থাকেন। রংপুর থেকে খুটামারা দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। তবে এতদূর থেকে এসে নিয়মিত মাদ্রাসা করা সম্ভব না বলে ধারণা অনেকের। শিক্ষিকার অনুপস্থিতের বিষয়টি গত ৩০ সেপ্টেম্বর দৈনিক আমার সংবাদে সংবাদ প্রকাশের পর, কেনো ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বা কি কারণে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন তার ব্যাখ্যা চেয়ে গত (৩ অক্টোবর) ওই মাদ্রাসা সুপারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক। পত্র পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে মাদ্রাসা সুপারকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। 

এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুর রশিদের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক বলেন, মাদ্রাসা সুপারকে চিঠির বিষয়টি মোবাইলফোনে অবগত করা হয়েছে। চিঠির জবাব দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস