Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

৪০ বছর পর মিনতি ফিরে পেলেন তার পরিবার

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

অক্টোবর ১৯, ২০২১, ০৯:২৫ এএম


৪০ বছর পর মিনতি ফিরে পেলেন তার পরিবার

হারিয়ে যাওয়া মিনতি আবার ফিরেছেন তার পরিবারের কাছে। ৪০ বছর পর পরিবার পরিজন পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মিনতি। এলাকার লোজনও মিনতিকে দেখতে আসছেন। মিনতির বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার রানীগ্রাম গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাছেদ আলীর হারিয়ে যাওয়া মেয়ে।
কিভাবে এতো বছর পর ফিরলেন মিনতি, তা নিয়ে কৌতহলও রয়েছে। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছর আগে ছয় বছর বয়সি মিনতি উপজেলার কাছিকাটা হাট থেকে হারিয়ে যান। এরপর এক সেনা সদস্য মিনতিকে নিয়ে ময়মনসিংহ রেল স্টেশনের স্থায়ী বাসিন্দা মসলেম উদ্দিনের জিম্মায় রাখেন।

মিনতির পিতা বাছেদ আলী জানালেন, তার তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে মিনতিই ছোট। মিনতি হারিয়ে যাওয়ার পর মিনতির মায়ের সাথে তার বিচ্ছেদ হয়। কখনো ভাবেননি মিনতি ফিরে আসবেন। মিনতির ছবি দিয়ে সাটানো ফেস্টুন দেখে তিনি নিশ্চিত হন মিনতিই তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে। মিনতির বাম চোখের কানায় কালো দাগ রয়েছে।

এখন মিনতিকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত তিনি। স্থানীয় শাহরুখ হোসেন নয়নের প্রচেষ্টায় মিনতিকে তারা খুঁজে পেয়েছেন। তিনি শাহরুখ ও তার বন্ধু পুলিশ সদস্যর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মিনতির সন্ধানদাতা শাহরুখ হোসেন বলেন, গুরুদাসপুরের চাপিলায় তার বাড়ি। মিনতির মেয়ে জামাই পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলাম তার বন্ধু। মিনতির মেয়ে জামাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন গুরুদাসপুরের কাছিকাটা থেকে মিনতি ছোট বেলায় হারিয়ে গেছেন। 

একারণে তিনি মিনতির হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কে মিনতির ছবিসহ ব্যানার ফেস্টুন দেন কাছিকাটা বাজারে। বিষয়টি মিনতির বাবার নজরে এলে তিনি মিনতির পিতা বলে দাবি করেন। পরে গাজিপুরের শ্রীপুর থেকে রবিবার মিনতিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মিনতি জানালেন, ময়মনসিংহ রেল স্টেশনের স্থায়ী মসলেম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তার লালন পালনের দায়িত্ব নেন। মসলেম উদ্দিনের বাড়িতেই আশ্রয় পান তিনি। তিনি বড় হওয়ার পর মসলেম উদ্দিনের তৎত্বাবধায়নে গাজিপুরের শ্রীপুর এলাকার ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তিনি চার কন্যার জননী। তবে ৪০ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে তিনি খুশি।

আমারসংবাদ/এআই