Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সাদুল্লাপুরে ভাঙন আতঙ্কে হাজারো পরিবার  

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

অক্টোবর ২০, ২০২১, ১২:২৫ পিএম


সাদুল্লাপুরে ভাঙন আতঙ্কে হাজারো পরিবার  

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভাঙন আতঙ্কে আতঙ্কিত হাজারো পরিবার। গত এক মাসের ব্যবধানে সরিয়ে নিয়েছে শতাধিক পরিবার তাদের ঘর বাড়ি। ঘাঘট নদী পাড়ের ৩০ কিলোমিটারের দীর্ঘ একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বহু সরকারি ছোট বড় স্থাপনা, স্কুল, কলেজ, মসজিদসহ হুমকির মুখে রয়েছে একটি গুচ্ছগ্রামও। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে শতশত হেক্টর আবাদি জমির ফসল।

উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নের বুক চিরে আঁকাবাঁকা পথ ধরে বয়ে চলে গেছে ঘাঘট নদীটি। নদীটি গিয়ে ঠেকেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। দুই জেলার সীমান্তবর্তী হলেও পুরো নদীটি রয়েছে গাইবান্ধার মানচিত্রে।  

স্হানীয়দের অভিযোগ নদীর ওপারে নদী শাসনসহ জিও ব্যাগ, ব্লক নির্মাণসহ নদী শাসনের ব্যবস্হা গ্রহণ না করার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে আতঙ্কে উৎকন্ঠায় বিনিদ্র রজনী কাটছে নদী পাড়ের মানুষগুলোর।

উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুরের ছান্নার ঘাট থেকে নাটির ছাড়া, রসূলপুর ইউনিয়নের কাটা নদী মুখ হয়ে দামোদরপুর ইউনিয়নের ভাঙামোড় এলাকার কুটিরপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার নদী পাড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। 

এলাকাবাসিরা জানায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ হয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলার টুনির চর পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার ঘাট পাড়ে রয়েছে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এ বাঁধেই আশ্রয় নিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। 

প্রতি বছরের বন্যা আর নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে বাড়ছে আশ্রয় হীন মানুষের সংখ্যা। এর মধ্যে মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে পথে বসেছে হাজারো পরিবার। 

ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহাবাজ, দক্ষিণ সাহাবাজ, মাস্টারপাড়া ও আকন্দপাড়া, সাদুল্লাপুরের রসূলপুর ইউনিয়নের প্রামানিক পাড়া, রহমতপুর, চাঁন্দের বাজার ও মহিষবান্দি গ্রামসহ দামোদরপুর ইউনিয়নের ভাঙামোড়, কুটিপাড়া, ভাঙারদহ ও জামুডাঙ্গা গ্রামের হাজারো পরিবারের।

স্থানীয়রা জানায়, এই বাঁধ দিয়ে সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল ও মালামাল পরিবহন করে। বাঁধ ভাঙতি প্রায় শেষ। কিন্তু সংস্কার নাই। আমরা তো অসহায় হয়ে পড়েছি নদীটি অনেক দূরে ছিল। এখন অনেক কাছে আসছে। অনেক ঘরবাড়ি চলে গেছে। অনেক বাঁচ্চা কোচ্চা পানিত পড়ি মরিও গেছি।‘কমপক্ষে ৪০ বছর আগে রাস্তাটা (বাঁধ) হইচে। এটি একটা ঘাট আছিল; সেটা ভাঙতি ভাঙতি ওপারে চলি গেছে। বন্যার টাইমে এক গালা পানি হয়। গত ৫০ বছরেও এই এলাকায় ভাঙন রোধে একটা কাজও হয় নাই। 

সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাহারিয়ার খান বিপ্লব বলেন,  মাননীয় সংসদ সদস্যসহ সবাই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিক বার জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোন কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করেননি।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদা পাঠানো হবে।’

আমারসংবাদ/এমএস