Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সুবিধা নিয়ে সোনাগাঁয়ে ইউপি নির্বাচনের প্রার্থীদের তালিকা করার অভিযোগ

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি 

অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৯:৪০ এএম


সুবিধা নিয়ে সোনাগাঁয়ে ইউপি নির্বাচনের প্রার্থীদের তালিকা করার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনৈতিক সুবিধা নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর শুক্রবার (২২ অক্টোবর) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক সাংসদ ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে গত ১৬ ও ১৮ অক্টোবর সোনারগাঁ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা করে তৃণমুলের মতামত নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সকল সদস্য স্বাক্ষর করে আটটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের তালিকা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের কাছে পাঠানো হয়। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা আওয়ামী লীগ সভা করে সকল সদস্যের মতামত নিয়ে ওই তালিকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো কথা। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সভা না করেই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।

অভিযোগপত্রে সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার আরও উল্লেখ করেন, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু, সাদিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপ্রার্থী নাসির উদ্দিনের এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে, তারা একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। তৃণমুলের পছন্দের তালিকায় তাদের নাম তালিকায় প্রথমে ছিল। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় এ নেতাদের নাম তালিকার পেছনে রেখে জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের নাম প্রথমে রেখে কেন্দ্রে তালিকা পাঠিয়েছে। 

এ ব্যাপারে জামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অর্থের বিনিময়ে তৃণমুলের মতামতকে উপেক্ষা করে তালিকা পাঠিয়েছে। তাদের পদ থেকে অপসারণের জন্য আমরা প্রয়োজনে আন্দোলনে যাব।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল যেভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। তা উল্লেখ করে দলীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি ও ইউনিয়নের নেতাদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। কেন্দ্রেীয় নেতাদের বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করেছি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল বলেন, আমরা কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত নই। জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনা করে কেন্দ্রে তালিকা পাঠিয়েছি।

আমারসংবাদ/কেএস