Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ফরিদপুরে শুঁড় তুলে সালাম, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

অক্টোবর ২৪, ২০২১, ০৯:২৫ এএম


ফরিদপুরে শুঁড় তুলে সালাম, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে ব্যাবসায়ী ও পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। হঠাৎ দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে সালাম দিচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত হাতির শুঁড়ের মাথায় চাঁদার টাকা গুঁজে না দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তোলে না হাতিটি। শুধু দোকানে দোকানে নয়। এতে বাদ যাচ্ছে না পথচারীরা।

এছাড়াও চলতি পথে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে একই কায়দায় হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এভাবে দোকান ও জনপ্রতি ১০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। আর এ চাঁদার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন হাতির পিঠে বসা রবিউল নামের মাহুত। এভাবে বেশকিছু দিন ধরে ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে এমন কাজ চলে আসছে। 

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরে হাতিটির দেখা মেলে।

ব্যাবসায়ী ও পথচারীদের অভিযোগ,জেলা জুড়ে ঘুরে ঘুরে এমন ভাবে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। শনিবার(২৩ অক্টোবর) সকালে বোয়ালমারী উপজেলার সদরে হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার দৃশ্য দেখা যায়। ব্যাস্ততম সড়ক আটকে যান থামিয়ে,বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে একই কায়দায় চাঁদা আদায় চলছে। 

বোয়ালমারী পৌর সদরের বাসিন্দা ও বনমালীপুর জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোটরসাইকেল আরোহী এবং দীপঙ্কর পোদ্দার অপু ও আল মামুন বলেন,টাকা না দিলে হাতিটি সড়ক দিয়ে যানবাহন থামিয়ে দেয়। টাকা ছাড়া যেতে দেয়না। স্কুলে যাওয়ার পথে হাতির চাঁদাবাজির শিকার হয়েছি। এটা এক ধরনের মহা বিড়ম্বনা। 

গুনবহা তালতলা বাজারে ব্যাবসায়ী,গুনবহা গ্রামের হারুন মোল্লা জানান, হাতিটি দোকানের সামনে এসে শুঁড় তুলে সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। টাকা না দিলে যায় না।কি আর করা ভয়ে ১০/২০ টাকা দিয়ে সড়াতে হয়। প্রতি মাসে এক দুইবার এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বলে তিনি আরও অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে চাঁদা তুলার কাজে জড়িত ও হাতির মাহুত রবিউল ইসলামের ভাষ্য, এভাবেই নিত্যদিন টাকা তোলা হয় এটা টিক। হাতিটি দি লায়ন সার্কাসের। বিভিন্ন সময়ে খুলনা থেকে ফরিদপুর যাওয়া আসার পথে যে যা দিচ্ছে তাই নিচ্ছি। হাতির পিছনে খরচ খর্চা বাবদ কিছু টাকাপয়সা তোলা হয়। এটা কোন চাঁদাবাজি নয়। কাউকে টাকার জন্য জোর করা হয় না। হাতি দেখে সবাই খুশিমনে টাকা দেন। 

জানা গেছে, বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে লালন-পালন করা হাতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। তবে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি বন্ধ করতে সাধারণ আইনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে পারেন।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে কেউ যদি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমারসংবাদ/এআই