জানুয়ারি ১৫, ২০২২, ০৮:৪০ এএম
ফরিদপুরে একটি বে-সরকারি হাসপাতালে গাইনী ডাক্তার ছাড়াই আয়া আর নার্সের হাতে সিজার হওয়া এক শিশুর কপাল কেটে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নয়টি সেলাই নিয়ে শিশুটি এখন গুরুত্বর অসুস্থ। এ ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক মোঃ জাকারিয়া মোল্লা পলাশ ও আয়া চায়না বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শহরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী রূপা বেগম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার উজানচর ইউনিয়নের মৈজদ্দিন মন্ডলপাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাই মোঃ আমির ফয়সাল বলেন, শনিবার সকাল ৮টার দিকে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরিতে আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে তার বোন কে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গাইনী ডাক্তার আসার আগেই তার বোন রুপা বেগমকে আয়া ও নার্স মিলে সিজার করে। বাচ্চা বের করে আনার পর দেখা যায় তার কপালে ৯টি সেলাই ও বাচ্চাটি গুরুত্বর অসুস্থ। বিষয়টি তারা লুকানোর চেষ্টা করলে প্রশাসন কে জানাই। পুলিশ এসে হাসপাতালের মালিক ও আয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শিশুটির ফুফা আসলাম খান বলেন, গরিব ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার নামে এধরনের হয়রানি বন্ধ এবং অপরাধীদের শাস্তি চাই। রোগীদের চিকিৎসার নামে এ বে-সরকারি হাসপাতালটি ডাক্তার, নার্স, আয়া সহ নানা অনিয়ম নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মাসুদুল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমি হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছি। গাইনী ডাক্তার ছাড়াই গর্ভবতি মাকে সিজার করা ও বাচ্চাটির কপাল কেটে ফেলার অভিযোগে হাসপাতালটির মালিক ও কর্মরত আয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়মসহ এ ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
আমারসংবাদ/এআই