Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

চন্দ্রগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ-সমাবেশ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ০১:১৫ পিএম


চন্দ্রগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ-সমাবেশ

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষের কর্মসূচি পন্ড হয়ে যায়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করলে উভয়পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় পুরো বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে সাধারণ মানুষ। 
রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী বাবলু ও তার সহযোগী সাইফুর রহমান জিকু ব্যক্তিগত কাজে চন্দ্রগঞ্জ থানায় যায়। 

এসময় মোটরসাইকেলযোগে থানা থেকে ফেরার পথে সমতা সিনেমা হল এলাকায় তাদের উপর কে বা কারা হামলা চালায়। এতে তাদের উভয়ের মাথা ফেটে যায়। পরে তাদেরকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজী বাবলুর অনুসারীরা রাত ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রাত ১২টা পর্যন্ত তারা চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে অবস্থান করে এবং ব্যাপক ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ চলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে তারা।  

অপরদিকে শনিবার রাতের ঘটনার জেরধরে রোববার সকালে কাজী বাবলুর গ্রুপ বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। একই সময় একইস্থানে চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের ব্যানার ফেস্টুন ছেঁড়ার প্রতিবাদে পাল্টা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয় নুরুল আমিন সমর্থিতরা।    

উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচিকে ঘিরে দু’পক্ষই তাদের সমর্থনে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীদের জড়ো করতে থাকে। এসময় কাজী বাবলু গ্রুপ চন্দ্রগঞ্জ নিউ মার্কেটের সামনে ও চেয়ারম্যান গ্রুপ চন্দ্রগঞ্জ উত্তর বাজারে অবস্থান নেয়। পরে কাজী বাবলুর গ্রুপ নিউ মার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরো বাজার পদক্ষিণ করে পুনরায় একইস্থানে এসে সমাবেশ করে মাইকে বক্তৃতা দেয়। এসময় চেয়ারম্যান সমর্থিত গ্রুপের নেতা-কর্মীরা তাদের মিছিল নিয়ে পুশ্চিম বাজারের দিকে এগিয়ে আসলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এসময় কাজী বাবলুর সমর্থকরা পুলিশের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজনের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

তবে চেয়ারম্যান সমর্থিত গ্রুপের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের পক্ষপাতিত্বের কারণে কাজী বাবলু গ্রুপ মিছিল সমাবেশ করতে পারলেও আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। তারা বলেন, ইউপি নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে কাজী বাবলুর অনুসারীরা একেরপর চন্দ্রগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্নস্থানে হামলা-মামলাসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। যার কারণে, বাজারের নিরাপত্তায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার একমাসের সকল ফুটেজ ডিলেট করে দেয়া হয় গত গত ৯ জানুয়ারী তারিখে। আমরা ফুটেজ ডিলেটের ঘটনায় প্রতিবাদ জানালেও পুলিশ দোষিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।  

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, দলীয় কোন্দলের জেরধরে দু’পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।  

আমারসংবাদ/কেএস