Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

চিকিৎসকসহ নানা সঙ্কটে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৭, ২০২২, ১০:০৫ এএম


চিকিৎসকসহ নানা সঙ্কটে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও সঠিক জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। ‘অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও ছোট বড় কোনো অপারেশন করা হয় না। নিরুপায় হয়ে রোগীরা পার্শ্ববর্তী কোনো ক্লিনিক বা প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়। যার ফলে সিজারিয়ান রোগীর মৃত্যুর হার বেড়েছে। এ ছাড়াও ভুল অপারেশনে ক্ষতিগ্রস্থের সংখ্যাও কম নয়। এদিকে দালালের খপ্পরে পড়ে এসকল ক্লিনিক গুলোতে গিয়ে মোট অংকের আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে রোগীদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, নিয়মানুসারে এলাকার জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে জুনিয়র কনসালটেন্ট ১০ জন থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে মাত্র ১ জন, এম এল এস ৪ জনের বিপরীতে ১ জন, ওয়ার্ড বয় ৩ জনের বিতরীতে ১জন, ওটি বয় ০১ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে পদটি শূণ্য, ২জন আয়ার বিপরীতে রয়েছে ১ জন, সিকিউরিটি গার্ড ২ জনের জায়গায় ১জন, পরিষ্কার পরিছন্ন কর্মী ৫ জনের প্রয়োজনের রয়েছেন মাত্র ১ জন। মালির পদটিও শূন্য।   

একদিকে যেমন জনবল সংকট অন্যদিকে  অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতিগুলো সঠিক ভাবে রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে নষ্ট হতে চলেছে। অযন্ত্র-অবহেলায় ফেলে রাখার কারনে ধুলো বালি পরে সরকারের দেওয়া দামিদামি আধুনিক সব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এছাড়া হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির ব্যবস্থা থাকলেও আল্ট্রাসনোগ্রাফির মেশিনটি ৫মাসের উর্ধে নষ্ট হয়ে পরে আসে বলে জানাযায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা নানা অভিযোগ করেন বলেন, এখানে চিকিৎসা সেবার মান এক দমই নিন্ম নামের। সময়মত কোন কিছুই পাওয়া যায় না। এদিকে বহিঃ বিভাগে রোগীরা লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থাকার পরও সেবা না পেয়ে ফিরে যান। অল্পতেই রোগীদের রেফার্ড করা হয় যশোরসহ আশাপাশের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে। 

তারা আরও বলেন, হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হতে আসেন। কিন্তু হাসপাতালের পরিবেশ এতটাই নোংরা যে রোগী সুস্থ্য হওয়ার পরিবর্তে অসুস্থ্য হয়ে যায়। অপরিস্কার টয়লেট, নেই কোন বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, জরাজীর্ণ ভবনসহ নানান সম্যায় যরজরীত মহেশপুর হাসপাতাল।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও রাজু আহম্মেদ জানান, সঠিক জনবল না থাকার এখানে সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ আছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। 

অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও কোন অপারেশন কিংবা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয় না কেন এ প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, এসকল জায়গায় চিকিৎসক না থাকায় এখানে কোন অপারেশন করানো হয় না।  

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসিবুর সাত্তার জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। 

আমারসংবাদ/কেএস