পটুয়াখালী প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৯:২০ এএম
“ঝাউবনে আর গাছ নাই, আনন্দের আর সীমা নাই” আর চাই না ছায়ায় ঘেরা গাছ, পিচের রাস্তায় হাটবো বারোমাস” লেখা ব্যনার নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে আনন্দ মিছিল ও প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে পটুয়াখালীর সাধারন শিক্ষার্থীবৃন্দের সৌজন্যে পটুয়াখালী সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন ঝাউবনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। আনন্দ মিছিল চলাকালে পথে পথে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সরকারি কলেজের ইংরেজী বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মাহফুজুল ইসলাম মানিক, আব্দুল করিম মৃধা কলেজের শিক্ষার্থী মো. আরিফ নেওয়াজ মুনসহ অন্যরা।
বক্তারা বলেন, আমাদের এইটা ছিলো ঝাউবন, এখন যেহেতু এই গাছ কাটা হইছে তাহলে এইটার নাম ঝাউকাটা বন অথবা কাটা বন। শহরের এই ঝাউবনে উন্নয়নের নামে গাছ কাটা হইছে লাইট পোস্টের জন্য। তাই আপনাদের বাড়ীর পাশে বড় বড় গাছ আছে তা কেটে ফেলে লাইটপোস্ট বসাবেন। গাছ না থাকলে পরিবেশ উত্তপ্ত হবে যার ফলে গরম লাগবে, তাহলে আর শীতে কষ্ট করতে হবে না। তাই গাছ রাখা যাবে না, তা কেটে ফেলতে হবে। সড়ক নির্মাণের ফলে গাছ নাই, তাইলে ঝাউবনটা কই। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে পরে প্রতিবাদি সংগীত পরিবেশন করেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সড়কের ডিজাইন অনুযায়ী গাছগুলো কাটার জন্য পৌরসভা আমাদেরকে চিঠি দিয়েছে সেই মর্মে আমরা জড়িপ করে ৬৩টি গাছ কর্তন করেছি। আমি নতুন এসেছি তাই এর আগে কতটি গাছ কাটা হয়েছে তা আমার জানা নাই।
প্রসঙ্গত, পটুয়াখালী পৌরসভা কর্তৃক ফোর লেনের উন্নয়নের জন্য পটুয়াখালী শহরের সার্কিট হাউস মোড় থেকে জেলা প্রশাসক বাংলো হয়ে সোনালী ব্যাংক মোড় পর্যন্ত সড়কের পাশে দুই শতাধিক ঝাউ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
আমারসংবাদ/কেএস