Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

মুঠোফোন গ্রাহককে না জানিয়ে যেভাবে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

এপ্রিল ১৭, ২০২১, ১০:২৫ এএম


মুঠোফোন গ্রাহককে না জানিয়ে যেভাবে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে

মুঠোফোন গ্রাহকের অজান্তে অপ্রয়োজনীয় সেবা চালু করে টাকা কেটে নিচ্ছে টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস) সেবা দেওয়া একাধিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আরও নানা অনিয়ম করছে কিছু প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) টিভ্যাসের একাধিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এসব অনিয়মের তথ্য পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে বিটিআরসি।

মুঠোফোন অপারেটরের গ্রাহকদের সমসাময়িক নিউজ অ্যালার্ট, ওয়েলকাম টিউন, গান, ওয়ালপেপার, ভিডিও, বিভিন্ন তথ্য (কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ধর্ম ইত্যাদি), লাইফস্টাইল, মুঠোফোনের গেম, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ইত্যাদি সেবা টিভ্যাস হিসেবে পরিচিত।

বিটিআরসি এর পরিদর্শনে যেসব অভিযোগ পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিবন্ধিত ঠিকানায় অফিস না থাকা, কমিশন থেকে সার্ভিস এবং ট্যারিফ অ্যাপ্রুভাল ছাড়াই টিভ্যাস সেবা দেওয়া। টিভ্যাস প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মনিটরিং টার্মিনাল/অনলাইন মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকা। ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং অ্যাগ্রিমেন্ট ছাড়া সার্ভার স্থাপন করে সেবা দেওয়া, অডিট রিপোর্ট দিতে না পারা, টিভ্যাস সার্ভিস অ্যাক্টিভেশনের ক্ষেত্রে বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) বাস্তবায়ন না করা।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, টিভ্যাস সার্ভিস অ্যাক্টিভের ক্ষেত্রে বিটিআরসির নির্দেশনা অমান্য করে গ্রাহকদের সম্মতি না নিয়ে অটো রিনিউয়াল চালু রেখেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। টিভ্যাস গাইডলাইন চালুর আগে থেকে টিভ্যাস দাতাদের কমিশনের প্রাপ্য রাজস্ব না দেওয়া, গ্রাহকের অজান্তে টিভ্যাস সার্ভিস অ্যাক্টিভেট করে টাকা কেটে নেওয়ার মতো কাজ করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

বিটিআরসি জানায়, এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কমিশন থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়।

এরকম পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে উইন মিয়াকি লি. মিয়াকি মিডিয়া লি. ও বিনবিট মোবাইল এন্টারটেইনমেন্ট লি. নামক তিনটি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০১০ সালের দিকে স্বল্প পরিসরে টিভ্যাস সেবা দেয়া শুরু হয়। ২০১৮ সাল নাগাদ এর ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ায় বিটিআরসি হতে টিভ্যাস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার লক্ষ্যে গাইডলাইন চালু করা হয়। সে সময় থেকে টিভ্যাস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়া করে।

বর্তমানে বিটিআরসির অনুমোদিত টিভ্যাস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ১৮২টি। টিভ্যাস প্রোভাইডারেরা চারটি মুঠোফোন অপারেটরের সাথে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে মুঠোফোন গ্রাহকদের শর্টকোড, এসএমএস, আইভিআর, ওয়াপ, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিভ্যাস সেবা দিয়ে থাকে।

সেবার বিনিময়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের একাংশ চুক্তি মোতাবেক মুঠোফোন অপারেটরেরা পেয়ে থাকে। এছাড়াও টিভ্যাস প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অর্জিত রাজস্বের মোট ৬.৫ শতাংশ বিটিআরসি/সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আমারসংবাদ/এমএস