বাংলাদেশি তরুণের আবিষ্কার: মাস্ক না পরলে খুলবে না দরজা

বাংলাদেশে দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে করোনা মহামারি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মহামারি থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধিতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

কিন্তু অনেক অসচেতন মানুষ নিয়ম ভেঙে মাস্ক ছাড়াই অফিস, আদালত, ধর্মীয় ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন। এতে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে, অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

এ অবস্থায় বাসা, অফিস, ধর্মীয় উপাসনালয় কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এক অভিনব যন্ত্র আবিষ্কার করেছে রিয়াদ আহমেদ শিথিল (২০) নামের এক তরুণ। তিনি এই যন্ত্রটির নাম দিয়েছেন ‘কোভিড-১৯ সেফটি ফেস মাস্ক ডিটেকটিভ ইন ডোর’।

যন্ত্রটির সুবিধা হলো- ফেস মাস্ক ছাড়া কেউ দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু মুখে মাস্ক থাকলে একটি সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে এবং দরজা খুলে যাবে। মুকে মাস্ক না থাকলে মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হবে। মাস্ক থাকলে প্রবেশকারীকে স্বাগতম জানাবে যন্ত্রটি।

আবিষ্কৃত এ যন্ত্র সময়োপযোগী ও কার্যকারী হলেও অর্থের অভাবে সামনের দিকে এগোতে পারছেন না এই তরুণ। সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে করোনা মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন ব্যক্তিরা।

শিথিল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলাধীন পান্টি ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তার জন্ম পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাবা নজরুল ইসলাম কম্পিউটারে অনলাইন সার্ভিস করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মা শেলী খাতুন পেশায় একজন গৃহিণী।

এর আগে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৪২তম বিজ্ঞান মেলায় অংশ নেন শিথিল। পান্টি কলেজ থেকে অংশ নিয়ে ‘কোভিড-১৯ সেফটি ফেস মাস্ক ডিটেকটিভ ইন ডোর’ নামর এই যন্ত্রটি উপস্থাপনা করেন তিনি। বিচারে প্রথম স্থান অর্জন করে কলেজ। সময়োপযোগী আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে ভূয়সী প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।

আমারসংবাদ/আরএস