Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

নিরলস কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২০, ২০২০, ০৬:১৭ পিএম


নিরলস কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন

বর্তমান সরকারের আগামদর্শী পরিকল্পনায় অর্থনৈতিকভাবে দুর্বারগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে দেশ স্বাধীনের মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন।

অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সকল অঞ্চলের সকল নাগরিকের দ্রুত জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও কাজ করছে এ কমিশন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পরিকল্পিত উন্নতির গতি ত্বরান্বিত করতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে উচ্চপর্যায়ের পেশাদারি সংগঠনের মর্যাদা।

বর্তমানে পৃথক ১০টি বিভাগের সমন্বয়ে এ কমিশনের মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কাজ চলছে দুর্বারগতিতে। যে কমিশনের চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আর বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করার যে আশা ব্যক্ত করেছেন সে আশার প্রতিফলন ঘটাতে সচিব পদমর্যাদার প্রধানের নেতৃত্বে সবকটি বিভাগের সমন্বয়ে একযোগে চলছে সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের কাজ।

রূপকল্প-২০৪১ এ গৃহীত ২০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই এশিয়ায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ এবং সে লক্ষে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে পরিকল্পনা কমিশন— এমনটা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রীও।   

এরই মধ্যে চলতি বছরের মার্চে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনার প্রভাব বিস্তার করে। যদিও আনুপাতিক হারে তুলনামূলক বিচারে করোনা দুর্দশার মাত্রায় এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই প্রধানমন্ত্রী খুলে দিয়েছেন অর্থনীতি।

প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা, ঝুঁকির মধ্যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাহস ও দুরদর্শিতায় চূড়ান্ত বিচারে অর্থনীতির লাভও হয়েছে। অর্থনীতি দ্রুত পুনরুজ্জীবিতও হচ্ছে। পুনরুজ্জীবিত অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের পথেও হাঁটছে বাংলাদেশ। যার নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে পরিকল্পনা কমিশন।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবে রূপায়নে গৃহীত ২০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ। সে লক্ষে অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশ- এ চারটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নত দেশ গড়ার দীর্ঘমেয়াদি এ স্বপ্নের বাস্তবায়নও চলছে।

২০৪১ সালের মধ্যে সরকার বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১০-২০২০ বছরে প্রথম ধাপে ১০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নও করে।

সরকার এখন দ্বিতীয় ধাপে ২০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশের অগ্রগতি ধরে রেখে দীর্ঘমেয়াদি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ— প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরাও।

সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ৩৫ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলমের ভূমিকা অন্যতম। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার পর ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতির ১০ ভাগ কোটায় ক্যাডার সার্ভিসের বাইরে প্রথম সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা অর্জন করা ড. আলম অতিক্রম করতে যাচ্ছেন তার কর্মজীবনেরও ৪৫ বছর।

সুবিশাল কর্মজীবনে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকেই বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি। প্লানিং কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বেও ছিলেন।

পরিকল্পনা কমিশনে তার প্রাপ্ত প্রথম দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম দ্বিতীয় ছিলো দারিদ্র্যবিমোচন কৌশলপত্র (২০০৯-১১), সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে সংশোধন পুনর্বিন্যাস। সংশোধিত সেই দলিল ‘দিন বদলের পদক্ষেপ’ জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে ২০১০-১১ পর্যন্ত বাস্তবায়িতও হয় সফলভাবে। রূপকল্প-২০২১-এর আলোকে প্রণীত বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১), ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাও (২০১১-২০১৫) ড. আলমের নেতৃত্বে ও অংশগ্রহণেই প্রণীত হয়।

তার নেতৃত্বে প্রণীত বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক (২০১৬-২০২০) পরিকল্পনার বাস্তবায়নও জুন ২০২০ এ সম্পন্ন হয়। পরিকল্পনা কমিশনে ড. আলমের কার্যকালীন সময়ে অন্যসবের মধ্যে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিষয়ক ১৬টি গ্রন্থ, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র (২০১১-২০২১) এবং বাংলাদেশের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র (২০১৫-২০২৫) প্রণীত হয়েছে। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ শতবর্ষী বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণীত হয়েছে (২০১৮)। সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে কার্যকালীন সময়ে তার তত্ত্বাবধানে ও সম্পাদনায় এ পর্যন্ত ৮২টি মূল্যায়ন প্রতিবেদন, অধ্যয়ন ও গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।  

কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে দক্ষতা ও অবদানের জন্য স্বর্ণপদকে ভূষিত ড. আলম সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষণ সোসাইটির ‘বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিপদক ২০১৮’-তেও ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১১ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলন এবং ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি জাপান সফরেও সফর সঙ্গী ছিলেন ড. আলম।

বর্তমানে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন, মধ্যমেয়াদি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার তাত্ত্বিক কাঠামো প্রণয়ন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ এবং পরিকল্পনার লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য বিকল্প কৌশল এবং নীতি প্রণয়ন, অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর যেমন- সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আয়-বণ্টন এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ওপর গবেষণা গ্রহণ/পরিকল্পনা, মধ্যমেয়াদি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর সামাজিক এবং খাতওয়ারি মূল্যায়ন, জাতীয় আয়-ব্যয়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বহিঃবাণিজ্য এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সংক্রান্ত প্রাক্কলন, বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রণয়ন, বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য স্মারক প্রণয়ন, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভার জন্য সার-সংক্ষেপ প্রস্তুত এবং দ্বি-পাক্ষিক সংস্থা ছাড়াও যেমন বিশ্বব্যাংক, IMF, ADB, ESCAP, EEC, ECDC, SAARC সংক্রান্ত কার্যাবলী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ উৎপাদন ও রাজস্ব আয়ের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয় তবে উৎপাদন ও রাজস্ব আয় সম্পর্কিত তথ্যসমূহ পর্যালোচনাকরণ এবং ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম’-এর মেমোরেন্ডাম প্রস্তুতকরণের কাজ চলছে তার দায়িত্বে। পূর্ববর্তী দায়িত্বের আলোকেই সংশ্লিষ্টরা বলছেন চলতি দায়িত্বেও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।  

পরিকল্পনা কমিশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ কার্যক্রম বিভাগ। যে বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব মো. আসাদুুল ইসলাম। কমিশনের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার নির্ধারণ এবং খাতওয়ারি সম্পদ বণ্টন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংশোধন, বার্ষিক কারিগরি সহায়তা কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংশোধন, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এডিপি বরাদ্দ অবমুক্তকরণের বিষয় বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ প্রদান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণ, বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য সাহায্য উপযোগী প্রকল্পসমূহের তালিকা প্রস্তুতকরণ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রস্তুতকরণ, সংশোধন এবং অর্থবরাদ্দ ও পুনঃঅর্থবরাদ্দ-সংক্রান্ত বিষয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশনের মধ্যে সমন্বয় সাধনসহ স্থানীয় সরকার উন্নয়নের জন্য গাইড লাইন্স প্রস্তুতকরণের কাজ চলছে তার নেতৃত্বাধীন বিভাগে। দায়িত্ব পালনে সক্ষম ও সচেষ্ট সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনার মধ্য দিয়ে রূপকল্প-২০৪১ এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে মনে করছেন কমিশন সংশ্লিষ্টরা।  

কমিশনের ভৌত-অবকাঠামোগত বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন আরও আরেক সিনিয়র সচিব শামীমা নার্গিস। যিনি ১২টি মন্ত্রণালয়সহ ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ, স্থানীয় ও মিউনিসিপ্যাল অবকাঠামো উন্নয়ন, পূর্ত ও গৃহায়নসহ আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো খাতের স্বল্প, মাধ্যম, পঞ্চবার্ষিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সেল স্থাপন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণ, এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াকরণ, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বার্ষিক ও সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও ত্রি-বার্ষিক আবর্তক কর্মসূচি প্রণয়ন, প্রাক-একনেক, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠান ও সাচিবিক সহায়তা প্রদান, অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রকল্পসমূহের অগ্রাধিকার ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, কর্মকৌশল নির্ধারণ, বিভিন্ন দাতা/উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কর্তৃক প্রণীত প্রকল্প দলিলের ওপর মতামত প্রদান, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার কার্যপত্র প্রণয়ন, উন্নয়ন প্রকল্পের স্থানীয় সম্পদের সুষম বণ্টন, উপযোজন ও অর্থ ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কাউন্সিল কমিটিসহ মন্ত্রিপরিষদের ক্রয়-সংক্রান্ত সভার কার্যপত্রের ওপর মতামত প্রদানসহ জাতীয় ও মন্ত্রণালয়/বিভাগপর্যায়ে বিভিন্ন কমিটিতে সদস্য হিসেবে অশংগ্রহণের কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। এ বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্নের মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন তিনি— বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ শিল্প ও শক্তি বিভাগ। মাঠপ্রশাসনে ১০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সচিব মো. মামুন-আল-রশীদ এ বিভাগের সদস্য। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) অষ্টম ব্যাচে ১৯৮৯ সালে যোগদানের মধ্য দিয়ে মাঠপ্রশাসনে যিনি ১০ বছর কাজ করার পর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে প্রশাসনিক সংস্কার বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন।

এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, অর্থমন্ত্রণালয়ে তৎকালীন ব্যাংকিং বিভাগে উপসচিব/যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও বিমা) থাকাকালে জাতীয় বিমা নীতি প্রণয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখাসহ মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে অর্জিত সুবিশাল অভিজ্ঞতার আলোকে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সার্বিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

শিল্প, বিদ্যুৎ, তৈল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ খাতে অগ্রাধিকার, লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মকৌশল নির্ণয়, উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন, এসব খাতের প্রকল্পের জন্য বার্ষিক/সংশোধিত উন্নয়ন কর্মসূচি ও ত্রি-বার্ষিক আবর্তক সর্মসূচি প্রণয়ন, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে উন্নয়ন নীতিমালা পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন, এসব খাতের বিভিন্ন উপ-খাতের তুলনামূলক সুবিধা চিহ্নিতকরণ, দাতা/উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য স্মারক ও সাহায্য উপযোগী প্রকল্প তালিকা প্রণয়ন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর প্রণীত প্রতিবেদন/অবস্থান পত্রের ওপর মতামত প্রদান এবং প্রাক-একনেক, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠান ও সাচিবিক সহায়তা প্রদানে পূর্ববর্তী দায়িত্বের আলোকে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে কমিশনকে এগিয়ে নিচ্ছেন রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে।  

আবুল কালাম আজাদ, সদস্য (সচিব), আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন। যিনি সেক্টরের জন্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির লক্ষে প্রকল্প চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে সহায়তা প্রদান, বিভিন্ন উপ-খাতের অগ্রাধিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও কর্মকৌশল প্রণয়ন, মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত প্রকল্প সারপত্র বিশ্লেষণ করে প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যয়ের যৌক্তিকতা নির্ণয় এবং প্রয়োজনে প্রকল্প সারপত্র সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ প্রদান, মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত প্রকল্প সারপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাভের উদ্দেশ্যে কার্যাবলী সম্পাদন, সময়ে সময়ে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ও অর্জিত অগ্রগতি পরিবীক্ষণ, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ, উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার অর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষে প্রজেক্ট প্রোফাইল প্রণয়ন, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের পাঁচটি উইংয়ের জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর, এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও একনেকের বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয় সাধন, সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়ন সমস্যাবলীর ওপর আলোচনা ও সমাধানের পন্থা নির্ধারণ, বৈদেশিক সাহয্য চুক্তি ও নেগোসিয়েশন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্টিয়ারিং কমিটিতে প্রতিনিধিত্বকরণ এবং প্রাক-একনেক/ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায়  প্রকল্প বিবেচনার জন্য কার্যপত্র প্রণয়ন করছেন সফলতার সঙ্গে।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই রেখে আসছেন অসামান্য অবদান। যা সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানান কমিশন সংশ্লিষ্টরা। কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে অগ্রাধিকার লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মকৌশল নির্ণয়, উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন, এসব খাতের প্রকল্পের জন্য বার্ষিক/সংশোধিত উন্নয়ন কর্মসূচি ও ত্রি-বার্ষিক আকর্ষক কর্মসূচি প্রণয়ন, দাতা/উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য স্মারক ও সাহায্য উপযোগী প্রকল্প তালিকা প্রণয়ন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর প্রণীত প্রতিবেদন ও অবস্থানপত্রের ওপর মতামত প্রদান এবং প্রাক-একনেক, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠান ও সাচিবিক সহায়তা প্রদানের কাজ সফলতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন তিনি।

আমারসংবাদ/এআই