Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ওয়াসার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে চলছে বাণিজ্য

নূরে আলম জীবন॥প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাই ১১, ২০১৭, ১০:১৯ এএম


ওয়াসার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে চলছে বাণিজ্য

রাজধানীর খিলগাঁও হতে বাসাবো রোডের ওয়াসার জায়গা অবৈধভাবে দখলে চলে গেছে ভূমি দখলবাজদের হাতে। ওয়াসার জায়গা দখল করে সারিবদ্ধভাবে তৈরি করা হয়েছে বেশকয়েকটি দোকান। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ওইসব দোকান ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তবু যেন দেখার কেউ নেই। প্রকাশ্যে এমন দখলবাজদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার মতো নেই।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে দায়সারাভাবে একটি দেয়াল লেখা টানানো থাকলেও তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ নেই। মানুষের সচেতনতার জন্য লেখা আছে, খালের ভেতর অবৈধভাবে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করবেন না। খালের মধ্যে বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। অবৈধভাবে খাল দখল করা ও খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা দ-নীয় অপরাধ। এ ধরনের সতর্কবাণী লেখা থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই।

ওয়াসা কালভার্টের জায়গা দখল করে রেখেছে প্রবাসী মো. রমজান হোসেন। প্রবাসী রমজানের কালভার্ট সংলগ্নস্থানে ৫.৩৬ কাঠা জায়গা রয়েছে বলে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো অবস্থায় আমাদের নজরে আসে। প্রবাসী রমজানের অবর্তমানে তার শ্যালক মো. আলআমিন এ ৫.৩৬ কাঠা জায়গার উপরসহ ওয়াসার জায়গা দখল করে যেসব দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন, সেসব দোকানের ভাড়া প্রতি মাসের ১০ তারিখে এসে নিয়ে যায়।

দখলবাজ হিসেবে যার নামটি অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তিনি হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল। বাবুলের বাড়ির নম্বর ৩২৯/৫/এ খিলগাঁও, জোড়াপুকুর। হোল্ডি নং- ২৯০/২- সি, খিলগাঁও। বাবুলের বিরুদ্ধে ওয়াসার জায়গা দখলের বড় অভিযোগ রয়েছে। তিনি ওয়াসার জায়গার উপর নির্মিত তিনটি দোকানের ভাড়া নিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। মো. শরীফ বাবার সঙ্গে ফার্নিচারের ব্যবসা করছেন প্রায় ২০ বছর।

শরীফ দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, এটা ওয়াসার জায়গা কি না আমরা জানি না, তবে আমরা দোকানের ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছি। ৭ হাজার টাকা ভাড়া দেয় বলে জানান তিনি। কাকে ভাড়া দেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবুলকে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, যে দোকানগুলোর কথা বলছেন ওই দোকান তিনটি আমি ভাড়া নিয়েছি এবং আমার ছেলে সেগুলো দেখা শুনা করে। কার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে জানতে চাইলে বাবুল তার নাম বলতে পারেনি। তিনি বলেন, আমি তার নাম জানি না, তবে আমার ছেলে বলতে পারবে। তার ছেলে কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ও কোথায় বলতে পারছি না। মনে হয় বাইরে গেছে।

জানা যায়, প্রবাসী মো. রমজানের কাছ থেকে ২৮শ টাকায় তিনটি দোকান ভাড়া নেয় বাবুল। কিন্তু তিনি শরীফের একটি দোকানের ভাড়াই নেন ৭ হাজার টাকা। শাহ আলম নামে আরেক ফর্নিচার ব্যবসায়ী আমার সংবাদকে জানান, এ ব্যবসা আমি বিশ বছর ধরে করলেও এখানে তিন বছর ধরে করছি। ওয়াসার জায়গায় এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভাড়া নিয়েছি। কার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালিক বিদেশে থাকেন। তবে তার শালা এসে ভাড়া নিয়ে যান। এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার ৯১১১৩৪৬ নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কারও সাথে কথা বলা যায়নি।