Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

বিনামূল্যে ১২ হাজার টাকার ইনজেকশন

আফছার আহমদ রূপক॥প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাই ১৮, ২০১৭, ০৭:১০ এএম


বিনামূল্যে ১২ হাজার টাকার ইনজেকশন

সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও সব দামি ওষুধই কিনতে হচ্ছে রোগীদের। কিন্তু ব্যতিক্রম এবং বিরল একটি দৃষ্টান্ত দেখা গেছে রাজধানীর সরকারি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। এ হাসপাতালে ১২ হাজার টাকা মূল্যের এভাস্টিন ইনজেকশন বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে রোগীদের মধ্যে। দেশের ইতিহাসে কোনো সরকারি হাসপাতালে কখনো এতটাকার ইনজেকশন বিনামূল্যে দেওয়া হয়নি।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে সম্প্রতি ৪ হাজার টাকার ইনজেকশন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশিরভাগ ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা থাকলেও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ১২ হাজার টাকার এভাস্টিন ইনজেকশন বিনামূল্যে দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। জানা গেছে, চোখের বিভিন্ন সমস্যায় এভাস্টিন ইনজেকশনটি অত্যন্ত কার্যকর।

বিশেষ করে ডায়াবেটিসজননিত চোখের সমস্যা, চোখের রেটিনা ও ক্ষীণ দৃষ্টির চিকিৎসায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে। আর বিনামূল্যে এতদামি একটি ইনজেকশন পেয়ে মহাখুশি গরিব রোগীরা। এতদিন এই ইনজেকশনটি কিনতে গিয়ে ঘটিবাটি পর্যন্ত বিক্রি করতে হতো তাদের। এখন পাচ্ছেন কোনো টাকা খরচ না করেই। এমনও দেখা গেছে ১২ হাজার টাকায় ইনজেকশনটি কিনতে না পেরে চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে অথবা অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে কম কার্যকর ইনজেকশন ব্যবহার করতে তারা বাধ্য
হতো। এই অসাধারণ উদ্যোগটি কেমন করে সম্ভব হলো জানতে চাইলে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মোস্তাফা আমার সংবাদকে বলেন, ১২ হাজার টাকা মূল্যের এভাস্টিন ইনজেকশনটি বিনামূল্যে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি অবদান রেখেছেন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তার নির্দেশে এবং সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। গতকাল হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে বিনামূল্যে শুধু এভাস্টিন ইনজেকশন বিতরণই নয়, আরো বেশকিছু রোগীবান্ধব নতুন কার্যক্রম। এরমধ্যে অটিস্টিক কর্নার, বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সিনিয়র সিটিজেন ক্লিনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আলাদা কক্ষে বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা। সবার সঙ্গে এসব রোগীকে আর দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।

এর আগে বর্তমান পরিচালক বাইরে থেকে কম এবং ন্যায্যমূল্যে চোখের লেন্স কেনার উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক সারা ফেলেন। এখন আর অতিরিক্ত মূল্যে লেন্স কিনতে হয় না চোখের রোগীদের। বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনেও সুনাম কুড়াচ্ছে হাসপাতালটি। অথচ একই ছানি অপারেশন প্রাইভেট হাসপাতালে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা।