Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ ইসি

তবিবুর রহমান॥প্রিন্ট সংস্করণ

আগস্ট ১১, ২০১৭, ০৫:৪২ এএম


লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ ইসি

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাদপড়া ও নতুন ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ার আশা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হালনাগাদ শুরুর আগে ৫০ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হবে বলে ধারণা করেছিল ইসি। কিন্তু তথ্য সংগ্রহে দেখা গেছে- লক্ষ্যের অর্ধেকও পূরণ হয়নি। ভোটাদের অভিযোগ, তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘরে ঘরে যাওয়া কথা থাকলেও অনেকের ঘরে যাওয়া হয়নি।

প্রচার ছাড়াই তথ্য সংগ্রহের জন্য কর্মীরা স্থানীয় কোনো একটি স্কুলে বসেছেন। নির্দিষ্ট ওই স্থানে যারা নিজ আগ্রহে এসেছেন তাদের তথ্যই নেয়া হয়েছে। ফরম সংকট ছিল তীব্র। বরাদ্দ থাকার পরও ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হয়নি। ইসির কেন্দ্র ও মাঠপর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা দায়সারা মনোভাব দেখিয়েছেন। এসব কারণে ১৮ বছর হয়েছে এমন বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী ভোটার হতে পারেনি।

এমনকি তথ্য সংগ্রহকারীদের দেখা না পেয়ে অনেকেই নিজ দায়িত্বে ইসি ও এর অধীন অফিসগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে তথ্য না রেখে উল্টো ফের তথ্য সংগ্রহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন অনেকেই। তারা বলেন, নতুন ভোটার সংগ্রহের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানোর কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজটি গুরুত্ব দেয়নি। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা আলী আকবার। তিনি আমার সংবাদকে বলেন, তার কলেজপড়ুয়া মেয়েকে ভোটার করার জন্য স্ত্রীকে আগ থেকেই বলে রেখেছিলেন।

কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় না যাওয়ায় তার মেয়েকে ভোটার তালিকাভুক্তির জন্য ফরম পূরণ করতে পারেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হয়েছেন ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩১ জন। তিনি বলেন, এবার ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ২ জন মৃত ভোটারের নাম কাটা হয়েছে। ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের।

এ বছর তাদের লক্ষ্য ছিল ৩৫ লাখ ভোটারের। তাদের ৭০ শতাংশ লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। তাদের ধারণা ছিল, এবার ভোটার বৃদ্ধির হার হবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে তা হয়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এব্যাপারে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, সব সময় লক্ষ্য পূরণ করা যায় না। তবে প্রচারণার অভাবের অভিযোগের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, সবাইকে এসএমএস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাইকিং করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদেরও সহায়তা নেওয়া হয়েছে। তাই এ অভিযোগ সঠিন নয়। এরপরও কেউ বাদ পড়লে তফসিলের পূর্ব পর্যন্ত ভোটার হতে পারবেন বলে জানান তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ পর্ব শেষ হয়েছে। আগামী ২০ আগস্ট থেকে নিবন্ধন কেন্দ্রে শুরু হবে ছবি তোলাসহ তথ্য রেজিস্ট্রেশনের কাজ। ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশন ২০১৫ সালের হালনাগাদে ১৫ বছর বয়সীদেরও তথ্য সংগ্রহ করেছিল যারা ২০১৮ সালে ভোটার হওয়া যোগ্য হচ্ছেন। তাদের নাম এ তালিকায় যুক্ত হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ২০১৫ সাল ও ২০১৭ সালের তথ্য নিয়ে এবার প্রায় ২৪ লাখ নাম যোগ হবে ভোটার তালিকায়।