Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

৩২ হাজার টন নিম্নমানের চাল চট্টগ্রাম বন্দরে

জাকির হোসেন॥প্রিন্ট সংস্করণ

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭, ০৫:২৩ এএম


৩২ হাজার টন নিম্নমানের চাল চট্টগ্রাম বন্দরে

দুই জাহাজ নিম্নমানের চাল এখন চট্টগ্রাম বন্দরে। থাইল্যান্ড থেকে এ চাল আমদানি করা হয়। এর পরিমাণ ৩২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। এমভি থাই বিনহ বে নামক জাহাজে করে গত ৩১ আগস্ট আসে ১২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। আর এমভি ডায়ামন্ড জাহাজে ১ সেপ্টেম্বর আসে ১৯ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। সবই সিদ্ধ চাল। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আসা এ চাল নিম্নমানের হওয়ায় সরকার গ্রহণ করেনি।

জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম দৈনিক আমার সংবাদকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনারা এসব জানেন কী করে। জবাবে জেনেছি বললে তিনি বলেন, জানলে তো জানছেনই। চাল নিম্নমানের হলে তা খালাস হবে না। তিনি আরো বলেন, এসব প্রশ্ন আমাকে নয়, ডিজি সাহেবকে করেন।
এদিকে কী কারণে এই চাল গ্রহণ করা হলো না এমন প্রশ্নে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাধারণত চালে মরা, বিনষ্ট ও বিবর্ণ ৩ শতাংশ থাকলে তা গ্রহণ করা হয়। কিন্ত থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত চালে মরা, বিনষ্ট ও বিবর্ণ চাল রয়েছে ১০ শতাংশ। তাই এসব চাল গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাহলে এই চালের কী হবে? জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমদানিকৃত কর্তৃপক্ষকে এনওসি (অনাপত্তি পত্র) দিয়ে দেব। তারা চাল ফিরিয়েও নিতে পারে বা অন্যকিছু করতে পারে। এটা তাদের ব্যাপার।

কোন কোম্পানি এসব নিম্নমানের চাল আমদানি করেছে জানতে চাইলে জহিরুল ইসলাম, চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক, খাদ্য, চট্টগ্রাম দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, সিঙ্গাপুরভিত্তিক ওলাম ইন্টারন্যাশনাল এ চাল আমদানি করে। চাল ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে তারা এ চাল আনে। কিন্ত দরপত্রে যে মানের চাল চাওয়া হয়েছে ওই কোম্পানি সেই মানের চাল আনেনি। তাই চাল গ্রহণ করাহয়নি। এখন ওই কোম্পানি এনওসি (অনাপত্তি পত্র) নিয়া গেলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, এনওসি নেয়ার পর এই চাল যদি তারা বাংলাদেশে বিক্রি করে এতে যেমন আপত্তি নেই। তেমনি দেশের বাইরেরও কোথাও নিয়ে গেলেও আপত্তি নেই। কারণ এসব চাল নিম্নমানের হলেও খাওয়ার অযোগ্য নয়। এছাড়া দেশে কোন চাল ঢুকবে আর কোন চাল ঢুকবে না তা নির্ভর করে কাস্টমস অফিসের উপর। তারা যদি এ চাল নেয় সেখানে আমাদের বলার কিছু নেই। আমাদের চাহিদা মতো চাল হয়নি বলেই আমরা তা গ্রহণ করিনি।

প্রসঙ্গত নিম্নমানের খাদ্য বিশেষ করে পচা গম ও চাল আমদানি দেশের ইতিহাসে নতুন কোনো ঘটনা নয়। ২০১৫ সালে ব্রাজিল থেকে পচা গম আমদানি করা হয়েছিল। এই অভিযোগ উঠেছিল পুলিশ বিভাগ থেকে। যা নিয়ে দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর জন্য সংশ্লিস্টদের শাস্তি পেতে হয়েছে। বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হয়েছে দেশের খাদ্য বিভাগকে। কিন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পঁচা চাল ও গম যেনো অপ্রতিরোধ্য। এর দায় কেউ নিতে চায় না।