Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

রাজস্বের প্রধান উৎস আয়কর মেলা

প্রিন্ট সংস্করণ॥মো. হাসান আরিফ

নভেম্বর ২৩, ২০১৮, ০৬:০৩ এএম


রাজস্বের প্রধান উৎস আয়কর মেলা

আয়করের মতো কঠিন বিষয়কে মেলার মাধ্যমে সহজ করে তুলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্বও আয় হচ্ছে। ফলে এই মেলা আয়ের একটা বড় খাত হিসেবে দেখা দিয়েছে। আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে একজন করদাতার বার্ষিক আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। আয়কর রিটার্ন ফরমের কাঠামো আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। বিষয়টি অনেকের কাছেই কঠিন। আর কঠিন বলেই এনবিআর ৯ বছর ধরে আয়কর মেলার আয়োজন করে আসছে। এই মেলার মাধ্যমে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই করদাতারা তাদের রিটার্ন দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আর মেলায় এনবিআর গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ তৈরি করায় প্রতিবছরই এর ব্যপ্তি আর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান সিনিয়ির সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জাতীয় জীবনের সকল পর্যায়ে একটি কর-বান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য ২০১০ সাল থেকে আয়কর মেলা চালু হয়েছে। এটি এখন আনন্দের, বড় গর্বের বিষয়। পৃথিবীর কোনো দেশই এ ধরনের করমেলার আয়োজন করে না। আমরাই শুধু করছি। মানুষ এখন উৎসবের আমেজে কর প্রদান করছেন। কর দেওয়া এখন কোনো ভীতি কিংবা হয়রানির বিষয় নয়। আয়কর মেলা যার উজ্জ্বল প্রমাণ। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ৯টি আয়কর মেলা থেকে ১৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭২৭ জন করদাতা তাদের আয়কর জমা দিয়েছেন। এ থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৫১ হাজার ৪২৭ টাকা। এনবিআর কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে কর দেয়ার বিষয়ে একটা ভীতি কাজ করে। তাই এই মেলার মাধ্যমে তাদের ভীতিও কেটে যাচ্ছে। আর কারা কর দিবেন সে বিষয়েও জনসচেতনতা তৈরি হচ্ছে। তাই আয়কর মেলা এখন গ্রাহক আর এনবিআরের একটা মেলবন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। চলতি অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী তারাই আয়কর দিবেন, যাদের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরে। আর নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়সীমা হবে ৪ লাখ টাকার উপরে এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়সীমা হবে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার উপরে। কে কেমন কর দেবেন তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই তালিকা অনুযায়ী প্রথম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর আয়কর হার শূন্য শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর আয়কর হার ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর আয়কর হার ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর আয়কর হার ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর আয়কর হার ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর আয়কর হার ৩০ শতাংশ। এদিকে কোনো ব্যক্তি-করদাতার প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্য থাকলে প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য তার করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা করে বাড়বে। অর্থাৎ, কোনো করদাতার একজন প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্য থাকলে তার করমুক্ত আয়সীমা হবে তিন লাখ টাকা। চলতি অর্থ বছরের বাজেটে আয়কর ও মুনাফার ওপর কর বাবদ চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ৭১৯ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে এনবিআরকে। বিদায়ী সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৭৭ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। তবে আয়ের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, কতিপয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। তাদের তালিকায় আছে- আয়বর্ষে করযোগ্য আয় থাকলে। আয়বর্ষের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোনো বছর করযোগ্য আয় নিরূপিত হলে। সিটি কর্পোরেশন অথবা বিভাগীয় ও জেলা শহরের পৌরসভায় বসবাসকারীদের একটি গাড়ির মালিক হলে বা মূল্য সংযোজন কর আইনে নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্য হলে। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে। ডাক্তার, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, আয়কর আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশায় নিয়োজিত সব ব্যক্তি। চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অথবা কোনো ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্য। পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব পদপ্রার্থী। তবে এবার এই ক্ষেত্রে কিছুটা শীথিল করা হয়েছে। যাদের টিআইএন নাই তাদের জন্য তা প্রযোজ্য হবে না। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঠিকাদারি কাজে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। আয়কর জমা দেওয়ার জন্য সব আয়কর অফিসে রিটার্ন ফরম পাওয়া যায়। একজন করদাতা সারা বছর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আয়কর অফিস থেকে রিটার্ন সংগ্রহ করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইট www.nbr-bd.org থেকেও রিটার্ন ডাউনলোড করা যায়। রিটার্নের ফটোকপিও গ্রহণযোগ্য। কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য প্রায় সব শ্রেণির করদাতার ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এই ৩ মাস সময়সীমার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে একজন করদাতা রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে উপকর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারেন। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সাধারণ অথবা সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব। প্রত্যেক শ্রেণির করদাতার রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর সার্কেল নির্দিষ্ট করা আছে। যেমন : A, B এবং C অক্ষরগুলো দিয়ে ঢাকা সিভিল জেলায় অবস্থিত যেসব বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী ও পেনশনভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম শুরু হয়েছে তাদের কর অঞ্চল-৪, ঢাকা এর কর সার্কেল-৭১-এ রিটার্ন জমা দিতে হবে। পুরনো করদাতারা তাদের বর্তমান সার্কেলে রিটার্ন জমা দেবেন। নতুন করদাতারা তাদের নাম, চাকরিস্থল বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত সার্কেলে ১২ সংখ্যার ই-টিআইএন উল্লেখ করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। করদাতারা প্রয়োজনে কাছাকাছি আয়কর অফিস বা কর পরামর্শকেন্দ্র থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সার্কেল সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলায় করদাতারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতা বিদেশে অবস্থান করলে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসেও রিটার্ন দাখিল করা যায়। বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের জন্য দুটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। সাধারণ পদ্ধতি : রিটার্নে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করা না হলে রিটার্নটি সাধারণ পদ্ধতির আওতায় দাখিলকৃত বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের সমর্থনে যথোপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণাদি না থাকলে করদাতার শুনানি গ্রহণপূর্বক মামলা নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি : করদাতা তার নিজের আয় নিজে পরিগণনা করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করবেন এটি বিশ্বব্যাপী বহুল অনুসৃত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে করদাতার দাখিলকৃত রিটার্ন প্রাথমিকভাবে বিনা প্রশ্নে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত হয়। রিটার্ন দাখিলের সমর্থনে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এক্ষেত্রে কর নির্ধারণী আদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। করদাতা রিটার্ন ফরম পূরণ পর্যায়ে রিটার্নের প্রথম পৃষ্ঠায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির ঘরে টিক প্রদান করলে কিংবা রিটার্নের উপরে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করলে দাখিলকৃত রিটার্নটি সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় গৃহীত হবে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, নবম আয়কর মেলায় ২ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এর পরিমাণ ২৫১ কোটি ৬১ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৪ টাকা বেশি। সে হিসাবে এবারের মেলায় রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া মেলায় রিটার্ন দাখিল করেছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩ জন করদাতা। গত বছরের চেয়ে এবার ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৬টি বেশি রিটার্ন জমা পড়েছে। রিটার্ন দাখিলে প্রবৃদ্ধি ৪৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মেলায় ই-টিআইএন নিয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার বেশি। নিবন্ধন নেওয়ার প্রবৃদ্ধি ৩৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে এবারের মেলায় সেবা নিয়েছেন ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ জন করদাতা। সেবা গ্রহীতায় প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪০ শতাংশ। অনলাইনে রিটার্ন জমা দেয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। মেলায় অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন ৩ হাজার ৭৭০ জন করদাতা। আর ই পেমেন্টে ১ হাজার ১৬০ জন করদাতা ১ কোটি ৪৮ হাজার ৬৫৮ টাকার কর জমা দিয়েছেন। আয়কর মেলা ২০১৮ এর সমন্বয়ক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জনাব জিয়া উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আয়করের মতো কঠিন বিষয়কে নিয়ে মেলার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কেবল চমক সৃষ্টিই করেনি, বরং জনসেবার ক্ষেত্রে নতুন উদাহরণ তৈরি করেছে। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া আয়কর মেলার পরিধি এবং মেলার মাধ্যমে আয়কর বিভাগের সেবার পরিসর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যৎ করদাতা সৃষ্টি ও শিক্ষার্থীদের কর বিষয়ে সচেতন করার লক্ষে মেলায় তৃতীয়বারের মতো সংযোজিত হওয়া কর শিক্ষণ ফোরামের আওতায় শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন মেলা পরিদর্শন, কর বিষয়ে ধারণা লাভ, কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হওয়া ও নেতৃত্ব লাভের শিক্ষা নেন। কর শিক্ষণ ফোরামে এবার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীরা মেলা পরিদর্শন এবং কর বিষয়ে জ্ঞানলাভ করেন। পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রতিদিন ১০ জন করে শিক্ষার্থীকে সনদপত্র, পুরস্কার ও প্রাইজবন্ড প্রদান করা হয়। অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও সনদপত্র প্রদান করা হয়। মেলার শেষদিন নর্থসাউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। যেকোনো মেলায় যেমন থাকে নানাবিধ পসরার সমাহার, তেমনি এবারের আয়কর মেলাকে সজ্জিত করা হয় কর প্রদানে উৎসাহী করদাতাদের জন্য নানারূপ সেবার আয়োজন দিয়ে; যেমনÑ ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ, রিটার্ন গ্রহণ, কর পরিশোধ, মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য ১টি করে পৃথক বুথ, প্রতিটি কর অঞ্চলের জন্য আলাদা বুথ, করদাতাদের সুবিধার্থে হেল্প ডেস্ক, তথ্যকেন্দ্র ও আয়কর অধিক্ষেত্রসংক্রান্ত বুথ ইত্যাদি। মেলায় সম্মানিত করদাতাদের সুবিধার্থে ৪৩টি আয়কর রিটার্ন বুথ, ৩১টি হেল্প ডেস্ক, ব্যাংক বুথ (সোনালী ব্যাংক ১৩টি, জনতা ব্যাংক ৫টি এবং বেসিক ব্যাংক ৩টি), ই-পেমেন্টের জন্য ৩টি, ই-ফাইলিংয়ের জন্য ২টি পৃথক বুথ ছিল। এছাড়াও মেলায় আগত সম্মানিত করদাতাদের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য একটি মেডিকেল বুথের ব্যবস্থা ছিল।মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রয়োজন পর্যাপ্ত অভ্যন্তরীণ সম্পদ। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে সম্মানিত করদাতারা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কর প্রদান করছেন। এজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা মেলার মতো আনন্দমুখর পরিবেশে সারা বছর সম্মানিত করদাতাদের সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।উল্লেখ্য, আয়কর মেলা শেষ হলেও চলতি মাসের ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সকল কর অফিসে মেলার মতই সকল কর সেবা প্রদান করা হবে এবং করদাতারা রিটার্ন দিতে পারবেন।