Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

অপতৎপরতা বাড়ছে ভুঁইফোঁড় লীগের

প্রিন্ট সংস্করণ॥নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৭, ২০১৯, ০৬:০৪ পিএম


অপতৎপরতা বাড়ছে ভুঁইফোঁড় লীগের

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে ভুঁইফোঁড় সংগঠনের অপতৎপরতা বেড়েই চলেছে। ২০০৮ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের লীগ শব্দজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গড়ে উঠেছে নামসর্বস্ব সংগঠন। মূলত নিজেদের ভাগ্য বদল বা তদবির বাণিজ্যের ব্যানার হিসেবে ব্যবহার করা হয় এসব সংগঠনকে। এ সংগঠনগুলোর তৎপরতায় আওয়ামী লীগসহ সরকার বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছে। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটি রাজনীতিতে সফল হলেও ভুঁইফোঁড় সংগঠনের অপতৎপরতা ঠেকাতে পারেনি। বরং নতুন নতুন ভুঁইফোঁড় সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামেও খোলা হচ্ছে সংগঠন। বর্তমানে অন্তত আড়াইশ সংগঠনের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সংগঠনের হাত ধরে সুবিধা আদায়ের জন্য ভিন্নপন্থী নেতারাও এখন আওয়ামী লীগে। যা নিয়ে অসংখ্যা অভিযোগ দলটির মূল ধারার নেতাকর্মীদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি দলে অতি আওয়ামী লীগারদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। একটি ব্যানার এদের পুঁজি। ব্যানারটি কাজে লাগিয়ে এসব নব্য আওয়ামী লীগারদের তৎপরতা বেশ চোখে পড়ার মতো। এরা ভুঁইফোঁড় সংগঠনের ব্যানারে দিবসকেন্দ্রিক গোলটেবিল, আলোচনা সভা আয়োজন করে মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মূলত তারা এসব করে থাকে তদবিরের কাজগুলো করার জন্য। এরা নিজেদের ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মী বা পদবঞ্চিত দাবি করলেও অনেকেই বিগত অন্যান্য সরকারের আমলেও একই কাজ করেছেন। শুধু সরকারের সঙ্গে ব্যানার পরিবর্তন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রয়েছে তৎপরতা। বারবার সতর্ক করলেও আমলে নেয়া হচ্ছে না বরং বেপরোয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, স্বীকৃত সহযোগী সংগঠনের বাইরে কোনো সংগঠনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক নেই। তারা আওয়ামী লীগের কেউ না। এসব সংগঠনের কর্মকা-ের ওপর নজর বৃদ্ধি করা জরুরি এবং রাখা হচ্ছে। সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে বলে জানান তিনি।আওয়ামী লীগ সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্বীকৃত সহযোগী সংগঠন হলো- বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। স্বীকৃত এসব সহযোগী সংগঠনের বাইরে আরও আড়াইশ সংগঠন রয়েছে। ভুঁইফোঁড় এসব সংগঠন গড়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রাসেল, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের নামে। এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী ঘাট শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ, আওয়ামী প্রচার লীগ, আওয়ামী ছিন্নমূল হকার্স লীগ, আওয়ামী যুব সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী মোটরচালক লীগ, আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদ, আওয়ামী তরুণ লীগ, আওয়ামী শিশু লীগ, আওয়ামী তৃণমূল লীগ, আওয়ামী ওলামা লীগ, ছিন্নমূল মৎস্যজীবী লীগ, রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, আওয়ামী যুব হকার্স লীগ, ডিজিটাল ছাত্রলীগ, ডিজিটাল প্রজন্ম লীগ, সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ, আমরা নৌকা প্রজন্ম, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, নৌকার নতুন প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু একাডেমী, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় লেখক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারা লীগ, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগ, আমরা মুজিব সেনা, রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমি, শেখ রাসেল শিশু পরিষদ, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, জননেত্রী পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদ, ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী, ’৭৫-এর ঘাতক নির্মূল কমিটি, ২১ আগস্ট ঘাতক নির্মূল কমিটি, মুক্তিযুদ্ধ ও গণমুক্তি আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদ, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী পর্যটন লীগ, জননেত্রী পরিষদ, দেশরত্ন পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদ, আমরা নৌকার প্রজন্ম, আওয়ামী শিশু-যুবক সাংস্কৃতিক জোট, তৃণমূল লীগ, একুশে আগস্ট ঘাতক নির্মূল কমিটি, আমরা মুজিব হবো, চেতনায় মুজিব, মুক্তিযোদ্ধা তরুণ লীগ, নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, ছিন্নমূল মৎস্যজীবী লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী হকার্স ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা বাস্তবায়ন পরিষদ, বঙ্গবন্ধু গ্রাম ডাক্তার পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় লীগ, জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় সংসদ উল্লেখ্যযোগ্য।এর মধ্যে কয়েকটি সংগঠন প্রশংসনীয় কার্যক্রম চালালেও অধিকাংশ সংগঠন নামসর্বস্ব। নামসর্বস্ব এসব সংগঠনগুলো সরকারি খাস জায়গা দখলসহ অন্যের জমিতে জোরপূর্বক সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে অফিস খুলে বসে। গোটা রাজধানীজুড়েই দেখা মিলবে এসব সংগঠনের অফিস। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও রয়েছে তৎপরতা। ক্ষমতাসীন হওয়ায় পুলিশ ও আশপাশের লোকজন তাদের প্রতিহত করার সাহস পায় না। দলীয় কাজে এদের দেখা না মিললেও সংগঠনগুলোর বড় বড় পদধারী এসব নেতাদের দেখা মেলে সচিবালয়, মন্ত্রী-এমপিদের বাসা ও অফিসে। রাজধানীর রাস্তায় সহসাই দেখা মেলে এসব নেতাদের বড় আকারের ছবিসহ বিলবোর্ড, পোস্টার-ব্যানার। যখন যে দপ্তরে কাজ থাকে, তখন সে দপ্তরের আশপাশে ঝুলিয়ে দেয়া হয় এসব বিলবোর্ড-ব্যানার। এছাড়া নামসর্বস্ব এসব সংগঠন মাঝে মধ্যেই রাজধানীতে বিভিন্ন ইস্যুতে সভা-সেমিনারের আয়োজন করছে। ওইসব অনুষ্ঠানে সংগঠনকে আওয়ামী লীগের সহযোগী এবং নিজেদের ত্যাগী আওয়ামী লীগ হিসেবে দাবি করে থাকে। লক্ষ্য একটাই তা হলো সরকার থেকে সুবিধা আদায় করা এবং সেমিনারের নামে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করা। অথচ এসব সংগঠনের নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন, নেই দলীয় অনুমোদন। ভুঁইফোঁড় এসব সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে চরম গ্রুপিং। একই নামে রয়েছে একাধিক কমিটি। প্রত্যেকটি কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকই নিজেকে মূলধারা বলে দাবি করেন। মাঝে মধ্যেই বিবাদে জড়াচ্ছে এসব কথিত কমিটির নেতারা। এছাড়া একে অপরের বিষাদগার নিয়ে মিডিয়াকর্মীসহ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর এতে সাধারণ জনমনে আওয়ামী লীগ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, এসব নেতারা এর আগে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী কোনো সংগঠনের সঙ্গে কখনোই জড়িত ছিলেন না।সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটের জনপ্রিয় আসর বিপিএল চলার মধ্যে তা নিষিদ্ধের দাবি তুলে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের দাবি করা আওয়ামী ওলামা লীগ। যদিও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত সংগঠনটি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী বলেন, এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট জুয়া খেলার প্রসার ঘটাচ্ছে। বিপিএলের নামে দেশকে জুয়াড়িদের আস্তানায় পরিণত করা হচ্ছে। প্রতিটি ব্যাটে বলে এখন জুয়ার বাজি ধরা হচ্ছে। বড় বড় জুয়াড়িদের পাশাপাশি চায়ের দোকানের সাধারণ লোকজনও এখন বিপিএল, আইপিএল তথা ক্রিকেট জুয়ায় মত্ত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী। বঙ্গবন্ধু দেশের সংবিধানে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করেছেন। সেই জুয়াড়ি তৈরির আসর বিপিএল, আইপিএলের মতো খেলাধুলা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।ওলামা লীগের এমন দাবির পর সারাদেশে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে এ ব্যাপারে বিবৃতি দেয় আওয়ামী লীগ। গত ২১ জানুয়ারির ওই বিবৃতিতে দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ জানান, ওলামা লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী ওলামা লীগের নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নীতিবিরোধী কর্মকা- পরিচালনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান তিনি। বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ নামে একটি সংগঠনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে বছর খানেক। সংগঠনের ঠিকানা দেয়া আছে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, অথচ সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ড. সরকার আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তি নিজেকে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগের সভাপতি পরিচয় দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনৈক আবুল কালাম আজাদ এর আগে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ নামে আরেকটি সংগঠনের মহাসচিব ছিলেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি অফিসের এসএএও। অথচ তিনি নিজেকে ড. হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। ভুয়া ড. উপাধি এবং বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ নামের ওই সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে পরিষদ নেতারা। এরপর নিজেই সভাপতি হয়ে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ গঠন করেন। আর এ সংগঠন গঠনের পর হতেই সারাদেশে কমিটি দেয়ার নামে চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগ রয়েছে অন্তত আরও ৫০টি সংগঠনের বিরুদ্ধে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও রয়েছে ভুঁইফোঁড় সংগঠনের অপতৎপরতা। এছাড়া ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেও চালানো হয় নানা প্রচারণা। যা নিয়ে বিব্রত হয়ে একাধিকবার গণমাধ্যমে বিবৃতিও দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ গত ২১ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ জানায়, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের নামে কিছু “ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট/পেজ” পরিচালিত হচ্ছে এবং সেই পেজগুলো থেকে নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য-সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। তাদের কোনো নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই। তাদের নামে পরিচালিত পেজগুলোকে ‘আনঅফিসিয়াল’ ঘোষণা করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়। আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমাদের মতো কিছু নেতাদের ছত্রছায়ায় এসব ভুঁইফোঁড় সংগঠন গড়ে উঠেছে। অথচ তাদের অপকর্মের জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের সহযোগিতা করার ব্যাপারে সিনিয়র নেতাদের আরও সতর্ক হওয়া দরকার।