Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

অটোরিকশা ডিলারদের কাছে ব্যবসায়ীরা জিম্মি

প্রিন্ট সংস্করণ॥আব্দুল লতিফ রানা

মার্চ ১০, ২০১৯, ০৬:৫৯ পিএম


অটোরিকশা ডিলারদের কাছে ব্যবসায়ীরা জিম্মি

থ্রি হুইলার সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ হচ্ছে না। সরকারি খরচের চেয়ে তিনগুণের বেশি টাকা আদায় করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সূত্র জানায়, ২০১৯ মডেলের গাড়ি বিক্রিতে বাড়তি ১০ হাজার করে নিচ্ছেন উত্তরা মটরসের পক্ষ থেকে। আর ২০১৮ মডেল বিক্রি এখনো বিক্রি করা হচ্ছে। এ জন্য সাধারণ সিএনজি অটোরিকশার ক্রেতাদের কাছ থেকে তারাও তিন লাখ ৮০ হাজারের পরিবর্তে তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরা মটরসের টাঙ্গাইলের ডিলার মগবাজারস্থ বাংলাদেশ মটরসে এ কাণ্ড চালিয়ে আসছে। আর এই কাজে উত্তরা মটরসেরই দুই কর্মকর্তা ইন্ধন যোগাচ্ছেন। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। থ্রি হুইলার (সিএনজি) সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি ১৩ হাজার ২০০ টাকা, ট্রেজারি চালান দেড় হাজার, রেভিনিউ স্ট্যাম্প ৪০০ এবং বিমার জন্য খরচ ৫০০ টাকা। এতে খরচ দাড়ায় ১৫ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু মগবাজারস্থ বাংলাদেশ মটরস সাধারণ সিএনজি অটোরিকশা ক্রেতাদের কাছে অটোরিকশা বিক্রির পর রেজিস্ট্রেশনের জন্য কখনো ৪২ কখনো ৪৫ আবার কখনো ৪৮ হাজার টাকা দাবি করছে। বিআরটিএর ঝামেলা এড়াতে অনেকেই এই টাকা গুনছেন। তবে বেশির ভাগ ক্রেতার অভিযোগ, তাদের উত্তরা মোটরসের দোহাই দিয়ে বাধ্য করা হচ্ছে টাকা দিতে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ মটরসের প্রকৃত ঠিকানা টাঙ্গাইল। তারা উত্তরা মটরস থেকে অটোরিকশা কিনে টাঙ্গাইলে বসে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু মগবাজার মোড়ের দিগন্ত এন্টারপ্রাইজে বসে অটোরিকশা বিক্রি ও রেজিস্ট্রেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ক্রেতাদের টাঙ্গাইলের মানি রিসিটও দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, বাংলাদেশ মটরসের প্রোপ্রাইটর রাজীব খানের সঙ্গে অটোরিকশা ক্রেতাদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই জগড়া হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত টাকা নিয়েও সিএনজি সরবরাহ করছে না। আবার অনেকেই বলছেন, সরকারি রেজিস্ট্রশন ফি’র তিনগুন বেশি টাকা আদায় করছে তারা। জুরাইনের সিএনজি ব্যবসায়ী রেজউল করিম, যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, মিরপুরের পাপ্পু, খিলগাঁওয়ের ফারুক হোসেন, মোহাম্মদপুরের আব্দুর রহিম, জীবন, পলাশীর বাচ্চুসহ আরও অনেকের অভিযোগ প্রায় একই। উত্তরা মটরসের নুরুদ্দীন জাহাঙ্গীর ও সাইফুল ইসলামও অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকার একটি অংশ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আর এই কারণেই তারা বাড়তি টাকা নিচ্ছেন বলে ক্রেতাদের জানানো হচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশা বিক্রির ছোট একটি দোকান হলেও ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে সাইনবোর্ড রয়েছে চারটি। সেগুলো হচ্ছে- এলপিজি অটো বাংলাদেশ, পিয়াজিও কমার্শিয়াল ভেহিকেল, দিগন্ত এন্টারপ্রাইজ ও বাংলাদেশ মটরস। এর পাশেই সুলতান মটরস ও দ্বিন ইসলাম মটরসে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেলেও সেখানে বাড়তি টাকা নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এমন বাড়তি টাকার বিষয়ে বিব্রত বিআরটিএর কর্মকর্তারা। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটা কখনোই হতে পারে না। উত্তরা মটরস অটোরিকশা আমাদানি করে ডিলারদের কাছে সরবরাহ করে। ডিলাররাই সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। আর রেজিস্ট্রেশন করে দেয় বিআরটিএ। কোনো ডিলার বাড়তি টাকা নিলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।