Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

পর পর চার সিরিজ জয়ের হাতছানি

জুলাই ১৫, ২০১৫, ০৫:০৬ এএম


পর পর চার সিরিজ জয়ের হাতছানি

   ওয়ানডেতে দুর্দান্তভাবে কাটানো একটি বছর অসাধারণ আরেকটি অর্জনে শেষ করার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। একই বছরে ভারত আর পাকিস্তানকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজে হারাতে পারলে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে দেশের ক্রিকেট। সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিতে সুযোগটা কাজে লাগাতে প্রত্যয়ী মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জেতায় ও পরেরটিতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জেতায় সিরিজে এখন ১-১ সমতা। বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেলা তিনটায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে ফাইনালে।

গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হারায় মাশারাফিরা। এরপর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানো দিয়ে বছর শুরু হয় বাংলাদেশের। দেশে ফিরে পাকিস্তান ও ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে হারায় টাইগাররা। সব মিলিয়ে তাই টানা চতুর্থ সিরিজ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে স্বাগতিকরা।

উইকেটে কোনো ঘাস নেই, পুরোপুরি ‘ফ্ল্যাট’ উইকেটে জ্বলে উঠতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। তবে এ জন্য রানে ফিরতে হবে তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিমকে। অনুশীলনে সবার আগে মাঠে এসে, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে নেটে ব্যাট করে নিজেদের ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরে নেওয়ার দিকেই পূর্ণ মনোযোগ দিলেন এই দুই ব্যাটিং ভরসা।

উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার রানেই আছেন। চোট থেকে ফিরে দ্রুত ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তিন ধরনের ক্রিকেটেই আইসিসির অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসান নির্ভরতা যোগাচ্ছেন ব্যাটিংয়েও।

লিটন দাস, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেনদের প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নিজেদের দিনে দলকে একাই টেনে নেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে।

সাকিব-নাসির-মাহমুদউল্লাহ থাকায় বোলিংয়ের দিকটা দুর্বল না করেও আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বিশ্বাস করেন, এই তিন স্পিনারের ১০ ওভার করে ওভার বল করার সামর্থ্য আছে।

চলতি বছর বাংলাদেশের সাফল্যে দারুণ অবদান দলের পেসারদের। চোটের কারণে তাসকিন আহমেদ না থাকলেও মাশরাফি-রুবেল হোসেন-মুস্তাফিজুর রহমান তার অনুপস্থিতি টের পেতে দিচ্ছেন না।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রয়েছে তরুণ মুস্তাফিজ আর দলে ফেরা রুবেলের। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ নেন তিন উইকেট আর দুই উইকেট নেওয়া রুবেলের বোলিংয়ে ছিল সেরা ছন্দে ফেরার আভাস।

দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে দলে বাড়তি কোনো ব্যাটসম্যান নেই। তাই ১৬২ রানে অলআউট হওয়া ম্যাচের ব্যাটসম্যানদের ওপরই আস্থা রাখতে হবে অতিথিদের। ওয়ানডেতে হঠাৎ করেই রান পাচ্ছে না অতিথিদের উদ্বোধনী জুটি। হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি ককও নেই সেরা ছন্দে।

এবি ডি ভিলিয়ার্সের অনুপস্থিতিতে ফাফ দু প্লেসি, জেপি দুমিনির ওপর পড়ছে বাড়তি চাপ। আর রাইলি রুশো, ডেভিড মিলারদের জন্য স্পিন সহায়ক উইকেট একটি বড় পরীক্ষাই হবে।

গত দুই ম্যাচে খেলা বোলারদের ওপরই আস্থা রাখতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাগিসো রাবাদা, কাইল অ্যাবট, ক্রিস মরিস, ইমরান তাহিরে গড়া বোলিং আক্রমণের পঞ্চম বোলারকে ‘টার্গেট’ করতে পারে স্বাগতিকরা। দুমিনি-ফারহান বেহারদিনের ওভারগুলোতে যত বেশি সম্ভব রান করার লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের।

দুটি একপেশে ম্যাচের পর সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে লড়াইয়ের প্রত্যাশা করবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেটাতে জিতে বাংলাদেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে মুখিয়ে আছেন মাশরাফি-সাকিবরা।