ক্রীড়া প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৪, ২০২০, ১১:৫৫ এএম
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খুব একটা তারকা সমৃদ্ধ দল গড়তে পারেনি মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। পুরো দলে তারকা বলতে কেবল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোহাম্মদ আশরাফুল। এরই মধ্যে চোটের কারণে নেই সাইফউদ্দিন। তবে দলে থাকলেও আলো ছড়াতে পারেননি আশরাফুল।
নতুনভাবে নিজেকে খুঁজতে থাকা আশরাফুল প্রথম পরীক্ষাতেই ব্যর্থ। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে রাজশাহীকে টেনেছেন মেহেদী হাসান। তাঁর ব্যাটে চড়ে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নয় উইকেটে ১৬৯ রান করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আনিসুল ইসলাম ইমনকে নিয়ে শুরুটা দারুণ করেন অধিনায়ক শান্ত। তবে শুরুর ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি তরুণ এই ওপেনার।
চতুর্থ ওভারের শেষ বলে নাসুম আহমেদের বলে লংঅনে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ফেরার আগে ১৬ বলে ১৭ রান করেন তিনি, ৩১ রানে প্রথম উইকেট হারায় রাজশাহী। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামা রনি তালুকদার খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ছয় রানে থাকে সাজঘরে পাঠান মুক্তার আলী। চারে ব্যাট করতে নামেন আশরাফুল। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলে ডট দেন। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল রান দিয়ে খাতা খোলেন।
কিন্তু ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। মুক্তার আলীর করা নবম ওভারের শেষ বলে অবিশ্বাস্য ক্যাচ দিয়ে সাবেক অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ নাঈম। এরপর শূন্য রানে বিদায় নেন ফজলে মাহমুদ। ৩৫ রানে বিদায় নেন আনিসুল।একে একে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজশাহী। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মেহেদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। ঠাণ্ডা মাথায় এগিয়ে যায় এই জুটি। মূলত এই জুটিতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় রাজশাহী।
১৮ তম ওভারে ভাঙে এই জুটি। মুক্তার আলীর বল সোহানের ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে যায়। উইকেটের পেছনে থেকে ক্যাচ লুফে নেন মুশফিকুর রহিম। ২০ বলে ৩৯ রানে ফেরেন সোহান। পরের ওভারে মেহেদীকে ফেরান রানা। হাফসেঞ্চুরি করে ফেরেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। দুই ব্যাটসম্যান ফেরার পর শেষ পর্যন্ত বেক্সিমকো ঢাকাকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দেয় রাজশাহী।
আমারসংবাদ/এমআর