Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

একই দিনে বিশ্বকাপ-এশিয়া কাপ থেকে বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক

নভেম্বর ২, ২০২১, ০২:২৫ পিএম


একই দিনে বিশ্বকাপ-এশিয়া কাপ থেকে বিদায়

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! একই দিনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ!  

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের ৩০তম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে টি-টোয়েন্টির স্বপ্নভঙ্গ। অন্যদিকে সৌদি আরবের কাছে ৩-০ গোলে হেরে এশিয়ান অনূর্ধ্ব ২৩ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাদার গতির মুখে পড়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। প্রথম ৩ ওভারে ১৪ রানে টাইগারদের প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রাবাদা। 

এরপর বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন পেসার আনরিচ নর্টজে। তার শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

১২তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে এসে টাইগার শিবিরে আঘাত হানেন প্রোটিয়া লেগ স্পিনার তাবরিজ শামসি। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। দলীয় ৪৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ২৪ রান করেন লিটন। 

এরপর ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামসির শিকার হন শামিম হোসেন। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সাকিবের পরিবর্তে বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া এই তরুণ ব্যাটার। দলীয় ৬৪ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ২০ বলে ১১ রান করার ‍সুযোগ পান শামিম। 

১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফেরেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বিদায়ে ৭৭ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ দিকে স্কোর মোটাতাজা করায় ব্যস্ত থাকা মেহেদি হাসানকে আউট করেন আনরিচ নর্টজে। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাসুম আহমেদকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন নর্টজে। 

ফল: বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। 

এ দিকে, ডু-আর-ডাই ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। ৩-০ গোলের হারে দুঃস্বপ্নের এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ এশিয়ান কাপ শেষ করল মারুফুল হকের বাহিনী।

ইউসুফ হক আর গোলকিপার পাপ্পুকে বসিয়ে একাদশ সাজান হেড কোচ মারুফুল হক।

জয়ের আশায় নেমে কঠিন বাস্তবতার অভিজ্ঞতা নিতে হলো বাংলাদেশকে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নামা সৌদির কাছে পাত্তাই পায়নি জুনিয়র টাইগাররা। রক্ষণ সামলাতে ব্যতিব্যস্ত ছিল ইয়াসিন-রহমত-রাফিরা।

কাউন্টার অ্যাটাকেও ছিল না কোনো ছন্দ। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিরাজ করে গেছে সৌদি আরব।

ম্যাচের শুরুতে দুই গোলের ধাক্কায় ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। সাউদ আব্দুল্লাহর গোলে লিড নেয় সৌদি। কষ্টের রেশ কাটতে না কাটতে মিনিট পরে জিয়াদ মোবারকের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে আইমানের গোলে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেয় সৌদি আরব। তিন গোলে পিছিয়ে থেকে গোল পরিশোধের কোনো চেষ্টা করতে পারেনি বাংলাদেশ। সৌদির গতির কাছে বারবার খাবি খেয়েছে ফাহিম-সুফিলরা।

কুয়েতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু। উজবেকিস্তানের কাছে গোলবন্যার শিকার। শেষ ম্যাচে সৌদির কাছে হেরে সব মিলে ১০ গোল হজম করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। আর অর্জনের খাতায় বড় করে লেখা শূন্য।

আমারসংবাদ/এমএস