Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫,

ভালোবাসার মানুষের রাগ ভাঙানোর উপায়

আমার সংবাদ ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২, ০১:২৫ পিএম


ভালোবাসার মানুষের রাগ ভাঙানোর উপায়

মাঝে মাঝে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ভালোবাসার মানুষটির সাথে রাগারাগি হয়। আর এই রাগারাগির কারণে হয় মান অভিমান। ভালোবাসার মানুষটি অভিমান করে থাকলে কোনো কিছু যেন ভালো লাগেনা। আর তাই কীভাবে ভালোবাসার মানুষটির মন ভালো করবেন এবং রাগ ভাঙাবেন সেটা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না।চলুন জেনে নেই কোন কোন উপায়ে ভালোবাসার মানুষটির রাগ ভাঙাবেন। 

*নিজের মতো তাকে ভালোবাসুন:
আমরা কখনো কি নিজের মতো করে প্রিয়জনকে ভালোবাসি? বুঝার চেষ্টা করুন প্রিয় মানুষটি আপনার থেকে আসলে কিভাবে সময় চায়। 

*প্রিয় মানুষটির রাগ চলে এলে আপনি চুপ থাকুন:
মানুষের রাগ আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এ রাগ যখন অতিরিক্ত হয়ে যায়, তা আপনার জন্য ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। যখন বেশি রাগ হবে তখন আপনি চুপ করে থাকবেন। কথায় তর্ক করবেন না। তর্ক করলে রাগ আরও বেড়ে যাবে।

*‘সরি’ বলুন:

‘সরি’ বললে কেউ ছোট হয়ে যায় না। দুই পক্ষেরই দোষ না থাকলে কখনোই একা ঝগড়া করা যায় না। আর তাই নিজের দোষটা স্বীকার করুন। আপনার ভুল ছোট হলেও সেটার জন্য দু:খ প্রকাশ করুন সুন্দর করে। তাহলে আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনার ওপর রাগ করে থাকতে পারবে না একদমই।

* আলিঙ্গন করুন:

ভালোবাসার মানুষটির রাগ ভাঙ্গাতে আলিঙ্গনের বিকল্প নেই। খুব কাছের এই মানুষটির রাগ একদম একনিমিষেই মিলিয়ে যাবে হাওয়ায়। তাই ভালোবাসার মানুষটির রাগ কমাতে তাকে আলিঙ্গন করে ভালোবাসা প্রকাশ করুন। আপনার ভালোবাসার উষ্ণতায় নিমিষেই গলে যাবে তার মন।

*উপহার দিন ছোট্ট কিছু:

আপনার ভালোবাসার মানুষটি রাগ করে আছে? তার প্রিয় ফুলটি কিনে উপহার দিন তাকে। অথবা তার পছন্দের একটি চকলেট বা আইসক্রিম দিয়ে সারপ্রাইজ দিন তাকে। প্রথমে একটু মুখ গোমড়া করে থাকলেও মনের রাগটা একদম ধুয়ে মুছে চলে যাবে তার। কিছুক্ষণ পরেই রাগ ভুলে গিয়ে একদম স্বাভাবিক হয়ে যাবে আপনার ভালোবাসার মানুষটি।

*কার্ড/কেক/প্যাস্ট্রি:

ভালোবাসার মানুষটির রাগ ভাঙ্গানোর আরেকটি সহজ উপায় হলো কার্ড। আর্চিস কিংবা হলমার্কে দারুন সব ডিজাইনের ‘সরি’ লেখা কার্ড পাওয়া যায়। সেগুলোর থেকে একটি পছন্দসই কার্ড কিনে নিজের হাতে দুই তিনটি বাক্য লিখে ভালোবাসার মানুষটির কাছে পৌঁছিয়ে দিন। কিংবা তার পছন্দের কেকের ওপর বিশাল করে ‘সরি’ লিখে তার সামনে ধরুন। রাগ চলে যাবে মূহূর্তেই।

*প্রিয় স্থানে বেড়াতে যাওয়া:

এবার আসি বেড়াতে যাওয়া প্রসঙ্গে। প্রিয়জন খুব বেশি রাগ করে আছে ? তোমায় ভুল বুঝে দূরে সরে যাচ্ছে ? বেশ তাহলে সময় বের করে তোমাদের দু’জনের প্রিয় স্থানে বেড়াতে চলে যাও। যে স্থানটি তোমার ভালোবাসার মানুষটির খুব প্রিয় । হয়তো সেখানে তোমাদের ভালোবাসার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সেখানে গিয়ে হয়তো একটু নস্টালজিক হয়ে পড়তে পারো দুজনই। হয়তো মাথায় আসতে পারে “ইস! কত বদলে গেছে সে দিনগুলো । কত ভালো ছিলো আগেকার সেই সময় “। মনে হোক তাতে ক্ষতি নেই । এই নস্টালজিয়াকে দু’জন ভাগ করে নাও । গল্প শুরু করো । তবে গল্প থেকে যদি ঝগড়া শুরু হয়ে যায় , তাহলে আমাকে দোষ দিও না যেন । তবে তুমি কিন্তু অভিযোগ ক’রো না নতুন করে । তাকে বলতে দাও । দেখবে রাগ গলে জল হয়ে গেছে ।

*প্রিয়জনকে গুরুত্ব দিয়ে কোনো কাজ শুরু করা:

ভালোবাসায় রাগ করার একটি প্রধান কারণ কিন্তু ভালোবাসার মানুষটির কাছে গুরুত্ব কম পাওয়া । তোমার প্রিয়জনের যদি এরকম অভিযোগ থাকে যে তুমি তাকে সময় দাও না , পাত্তা দাও নি , বা ছোটো করেছো কারো সামনে । অথবা কিছু ভুলে গেছো কিংবা অন্য কারো প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিচ্ছ ব’লে তার মনে হয়েছে । এরকম কোনো রোগের কারণ হলে তোমার জন্য এই টিপস । তুমি এমন কিছু কাজ করবে যেখানে তোমার ভালোবাসার মানুষটির গুরুত্ব বেশি হয়। যেমন প্রিয় মানুষটির জন্মদিন , ভালো কোনো রেজাল্ট ইত্যাদির জন্য বন্ধুদের বা কাছের আত্মীয়দের নেমন্তন্ন করে খাওয়ানো। সেরকম কোনো টপিক না পেলে প্রিয়জনের হাসিমুখের ছবিটি আর্টিস্টকে দিয়ে আঁকিয়ে নিয়ে এসো। আর ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে দাও । কিংবা মেকআপ আর্টিস্টকে নিয়ে এসো আর তাকে সাজিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যাও একদিনের জন্য ফটোশ্যুট করতে । মেয়ে বা ছেলে যে কেউই এখন এটা ভালোই বাসবে আশা করি । দেখবে রাগ কোথায় চলে গেছে ।

*প্রিয়জনের ভালো বিষয়গুলোর প্রশংসা করা:

সবাই নিজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে । আর সব মানুষের মধ্যেই প্রশংসা করার মতো কোনো না কোনো বিষয় থাকবেই । সে যদি তোমার ভালোবাসার মানুষই হয়ে থাকে , তবে তার প্রশংসার বিষয় তোমার থেকে আর কারো জানার কথা নয় । বন্ধু, আত্মীয়দের সামনে তার প্রশংসা করো । ফোনে কথা বলার সময় তাকে নিয়ে গর্ব করো ।অথবা সরাসরি বলো যে , “তোমার এই গুনকে আমি শ্রদ্ধা করি । কিংবা তোমার জন্য আমার গর্ব হয় ।” দেখবে তোমার গর্ব করা দেখে তোমার প্রিয়জনের রাগ লা-পাত্তা হয়ে গেছে । মনে রাখবে , ভালোবাসার সম্পর্কগুলো কিন্তু এরকম প্রিয়জনের ভালো কাজের গর্ব করার মাধ্যমে গভীরতা পায় । তাই প্রিয়জনকে গুরুত্ব দিলে তোমার প্রতি তারও শ্রদ্ধা বাড়তেই থাকবে। ইত্যাদি।

আমার সংবাদ/আর এইচ