আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক ইউএনও রোকসানা মিতা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার একজন সফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন ইউএনও রোকসানা মিতা। সরকারের নির্ধারিত কাজের বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে অসংখ্য মানবিক কার্যক্রম সম্পাদন করায় উপজেলাবাসীর কাছে বিপদে-আপদে তার নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয়। তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা নন, নন জনপ্রতিনিধিও। তারপরও তার সততা কর্মস্পৃহা দায়িত্বশীলতা ও জনমানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাকে বসিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও যে আমজনতার মধ্যে মিশে যাওয়া যায়Ñ যেন তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত তার কর্মদক্ষতায়, সততায়, আন্তরিকতা ও সাহসিকতায়। ক্রমেই তিনি হয়ে উঠেছেন উপজেলাবাসীর আইকন।

৩৪তম বিসিএস (ক্যাডার) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থেকে চাকরি জীবনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রথম কর্মস্থল এই দামুড়হুদা উপজেলা। এর আগে সহকারী কমিশনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পাবনা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাবনা সদর উপজেলা, সহকারী পরিচালক সামরিক ভ‚মি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা সেনানিবাসে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। দামুড়হুদায়  ইউএনওর দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই দেখাচ্ছেন চমক, রেখে চলেছেন মনে রাখার মতো অসংখ্য মানবিক কার্যক্রমের স্বাক্ষর। শুধু রুটিন ওয়ার্কই নয়, তিনি উপজেলাবাসীর যেকোনো প্রয়োজনে, যেকোনো স্থানে পৌঁছে দেন তাৎক্ষণিক সেবা।

আশ্রয়হীনকে আশ্রয়ের ঠিকানা তৈরি করে দেয়া, অসুস্থকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া, অভাবী মেধাবী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান, বিষ্ণুপুরে মাহাবুল-কল্পনা দম্পতির একসাথে চার মেয়ে জš§ দেয়ার পর ওই চার নবজাতককে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়াকে মাতৃস্নেহে বুকে তুলে নিয়ে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুখাদ্যের ব্যবস্থা করা এবং ওই চার নবজাতকের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুটি ফলদ ও দুটি বনজ বৃক্ষরোপণ, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য কর্মসংস্থান করা, মাদকাসক্ত ও বিপথগামীদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনা, ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক ও বিশ্বাস স্থাপনে অগ্রণী ভ‚মিকা পালনসহ অসংখ্য মহতী কাজের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে। শুধু দামুড়হুদাবাসীর কাছেই নন, গোটা জেলাবাসীর কাছেই তিনি এখন আমজনতার কাছের মানুষ বা বাড়ির পাশের মেয়ে হিসেবে পরিচিত পাচ্ছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

সাবলীল স্বচ্ছ সুন্দর ব্যবহার, সমস্যার দ্রুত সমাধান, মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া ইউএনও রোকসানা মিতার যেন নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও হিসেবে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা, বাল্যবিয়ে বন্ধ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নকল ও ভেজালবিরোধী অভিযানে তিনি শতভাগ কঠোর। ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন অভিযানে শাস্তি ও জরিমানা আদায়েও রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। এ ছাড়া গ্রামীণ অবকাঠামো, কাবিখা/কাবিটা, কর্মসৃজনসহ প্রতিটি কাজ সরেজমিন পরিদর্শন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে করেছেন নিরলস পরিশ্রম। মানবিক গুণাবলির জন্য ইতোমধ্যে তিনি হয়েছেন সব মহলে প্রশংসিত। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা জাতীয় আমার সংবাদকে বলেন, আমার ওপরে অর্পিত রাষ্ট্রের আদেশ আমি সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছি। বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে বর্ধিষ্ণু জনপদ দামুড়হুদা উপজেলাও স্বমহিমায় ছুটে চলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করেছি। তাই এ উপজেলা অনেক উপজেলার আগেই পুরোপুরি শতভাগ স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তরিত হবে বলে আমি আশাবাদী।

আরএস