১৩ বছর আগের ভিডিও ভাইরাল

জামায়াতের মিছিলে লাঠিপেটা, থানা ছাড়লেন ওসি

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ১১:২৩ পিএম

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় গত ১৩ জুন ওসি হিসেবে যোগদান করেন ইন্সপেক্টর হাশমত আলী। 

এরই মধ্যে ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর জয়পুরহাট সদরে জামায়াতে ইসলামীর মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পর বুধবার তিনি থানা ছেড়ে চলে যান।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা সদরে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মিছিলে দলটির নেতাকর্মীর ওপর লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। সেই পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্ষেতলাল থানার নবাগত ওসি হাশমত আলীকেও লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়। তিনি তৎকালীন জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আজ সকালে ওসি হাশমত আলী ক্ষেতলাল থানা ছেড়ে চলে যান। পরে পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে ওসি হাশমত আলী থানা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে পুলিশ সুপার মু. আবদুল ওয়াহাব বলেন, তাঁকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর জয়পুরহাট শহরে সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জেলা জামায়াত বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এরই এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। 

লাঠিচার্জের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের এক দল মিছিলকারীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তাদের সামনের সারিতে ছিলেন তৎকালীন এসআই হাশমত আলী। অভিযোগ আছে, তাঁর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতা অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ অনেকেই। সেদিন এসআই হাশমতের গুলিতে শিবিরের সাথী বদিউজ্জামান নিহত হন বলে অভিযোগ জামায়াতে ইসলামীর।

এ ঘটনার ১৩ বছর পর এসআই হাশমত গত ১৩ জুন ক্ষেতলাল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। এর পরই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।

ক্ষেতলাল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শামীম হোসেন মণ্ডল বলেন, ওইদিন তিনিই আমাদের জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে রক্তাক্ত করেন এবং বদিউজ্জামানকে গুলি করে শহীদ করেন। তারপর যতবার জয়পুরহাটে দায়িত্বে ছিলেন, দমন-নিপীড়ন আরও বাড়িয়েছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ক্ষেতলাল থানায় গিয়ে ওসি হাশমত আলীকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মু. আবদুল ওয়াহাব বলেন, ওসি হাসমত আলী পালিয়ে যাননি। তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ইএইচ