সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য: মাগুরা সদর হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম

মাগুরার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ধুপি (লন্ড্রি) সেবা প্রদানকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজ দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বেডশিট, বালিশের কভারসহ বিভিন্ন কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছে। 

তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির মালিক জাহিদুজ্জামানকে লক্ষ্য করে ‘চাঁদাবাজি ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রেজা ফেরদৌস নামের এক ব্যক্তি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসপাতাল ও ঠিকাদারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি সম্প্রতি কিছু ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ দাবি করছেন এবং তা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, চলতি আগস্ট মাসের ৫ তারিখে মাগুরা সদর হাসপাতালের পাশে পেয়ারলেস হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাতেও রেজা ফেরদৌসের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। 
এছাড়া জাহান ক্লিনিকের মালিক ডা. মাসুদের কাছ থেকেও তিনি অর্থ দাবি করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের বাবলুর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার কথাও উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার জাহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন,“আমাদের প্রতিষ্ঠান নিয়মমাফিক হাসপাতালের কাপড় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করছে। চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় না দেওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর ন্যায় বিচার চাই।”

অন্যদিকে, মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহাসিন ফকির বলেন,“সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা হাসপাতালের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। চাঁদাবাজির বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে দেখা হচ্ছে।”

স্থানীয় সচেতন মহল মন্তব্য করেছেন, সরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিক কার্যক্রমে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচার একটি নিন্দনীয় অপরাধ। 

তারা প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

ইএইচ