জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গত ১৫ বছরে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতিতে সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) এ বিষয়ে একটি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মশিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সাল থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত যেকোনো নিয়োগ বা পদোন্নতিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ আগামী ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখের মধ্যে লিখিতভাবে জমা দিতে হবে।
এই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে, জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন-কে। কমিটির কাছে সিলগালাকৃত খামে অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়েছে। তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিগত দেড় দশকে বিভিন্ন সময় নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত কিছু নিয়োগে পছন্দের লোককে বাছাই, নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়মভঙ্গ এবং পদোন্নতিতে অগ্রাধিকার-বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য’। তদন্তে কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তদন্ত কমিটি গঠনের খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ একে ‘সাহসী পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত’ বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
বিআরইউ