জুলাই শহীদ দিবসে ইবিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও দোয়া-মোনাজাত

ইবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) 'জুলাই শহীদ দিবস' উপলক্ষে ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি ও ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও শহীদদের স্মরণে দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নম্বর কক্ষে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৭৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী ও ৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিযোগিতা শেষে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, গ্রীণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস. এম. সুইট, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আবু ইউসুব আলীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

দোয়া মাহফিলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আজকের এই দিনে আবু সাঈদ শহীদ হয়েছিলেন। তার রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা তার ও অন্যান্য শহীদদের জন্য দোয়া করি।”

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “মাসব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে আজকের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সময় যখন ছাত্রদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, আমরা তাদের থানা থেকে মুক্ত করেছিলাম। যে ব্যক্তি নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে না, আল্লাহও তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না। তাই সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে দামাল ছেলেরা স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “যতদিন সরকার জুলাই বিপ্লবকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দেবে, ততদিন এটি ৭১-এর মতো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাবে না। ঘোষণা পত্র ছাড়া চাঁদাবাজি, হত্যা ও লুণ্ঠন বন্ধ হবে না। চব্বিশের আন্দোলন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে সরকার পতনের বিপ্লবে রূপ নিয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষের যেমন অধিকার আছে, তেমনি আপনার-আমারও সমান অধিকার রয়েছে। কারো অধিকার লঙ্ঘন বর্তমান পরিবর্তিত বাংলাদেশে মোটেও সমীচীন নয়।”

ইএইচ