এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ

ইবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

গোপালগঞ্জ জেলায় জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানো এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে সমবেত হয়। এ সময় মহাসড়ক অবরোধ করে তারা, যা ঘণ্টাখানিক যানজটের সৃষ্টি করে।

বিক্ষোভকারীরা ‘কন্ঠে আবার লাগা জোর, মুজিববাদের কবর খোঁড়’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর; ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘নাহিদ ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ’, ‘শেষ হয়নি যুদ্ধ, আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যেভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটি শক্তিকে পরাজিত করেছিল, সেভাবে আমাদের আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্বৈরাচার ফিরে এলে সবাইকে বিনাশ করতে বিন্দুমাত্র ভাববে না। আওয়ামী প্রীতির জন্য আজ গোপালগঞ্জে এই ঘটনা ঘটেছে। একবছর পরেও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “গোপালগঞ্জের এসপি ও ডিসি দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা ফ্যাসিবাদী নেতাকর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইন্টিরিমকে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। গোপালগঞ্জে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় দেখা গেছে, যদি পুলিশ ব্যবস্থা সংস্কার না হয় তাহলে দেশে অচিরেই গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। অতিদ্রুত পুলিশ ব্যবস্থা সংস্কার করা জরুরি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিনি সতর্ক করে বলেন, “অনতিবিলম্বে ৪ আগস্টের মিছিলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষক ও তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে সিন্ডিকেট বসিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

ইএইচ