আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মব তৈরি করে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, এসব ঘটনার বিচার অবশ্যই হবে।
সোমবার আদালতে হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘এটি ঠিক হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মব সৃষ্টি করে মারা হচ্ছে। এই যে মব জাস্টিস করে মানুষ হত্যা করলো… ১৬২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী… এক মাঘে শীত যায় না, এর বিচারও হবে। এর বিচার হবে না, এটা কেউ ভাববেন না।’
সাংবাদিকদের ‘দেশ কেমন চলছে’—এমন প্রশ্নে কিছুক্ষণ চুপ থেকে হেসে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো দেখছেনই, এক হাতে তালি বাজে না।’ পরে তিনি হাসিমুখে সাংবাদিকদের কুশল জিজ্ঞেস করেন।
এদিন সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায় শাজাহান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল জোরদার।
তাদের সবাইকে হ্যান্ডকাফ, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরানো হয়। কাঠগড়ায় তোলার পর পুলিশ হ্যান্ডকাফ ও হেলমেট খুলে দেয়। এ সময় শাজাহান খান ও আনিসুল হক একে অপরের সঙ্গে আলাপ করছিলেন এবং নিজ নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। বিচারক এজলাসে প্রবেশ করলে তারা নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সালমান এফ রহমান আদালতজুড়ে চুপচাপ ও নিরিবিলি অবস্থান করেন। তার পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং দুই ফিতার বার্মিজ স্যান্ডেল। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
রিমান্ড শুনানির সময় শাজাহান খান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘বিজ্ঞ পিপি সাহেব, উনি বিএনপির বড় নেতা। ভুতুড়ে মামলায় বারবার আমাদের রিমান্ডে নিচ্ছেন কেন?’
জবাবে পিপি ওমর ফারুক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তারা গণভবনে বসে নীতিনির্ধারণ করেছেন। তিনি (শাজাহান খান) সাধারণ আসামি নন। মিডিয়ায় এসে স্বীকার করেছেন, আন্দোলনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না, দমন করা হবে। আমরা তো মামলা করিনি, করেছেন ভুক্তভোগীদের আত্মীয়রা। আমরা কেবল শুনানির কাজটি করি।’
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম শাজাহান খান, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ইএইচ