জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল

আদালত প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম

জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে সংঘটিত ‘নির্মম হত্যাযজ্ঞের’ সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। 

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ সূচনা বক্তব্যে তিনি এই আবেদন জানান।

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

সূচনা বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যেই ন্যায়বিচার চাই। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। চাই, এই বিচার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটি উদাহরণ হয়ে থাকুক।”

বলেন, “বিগত সময়ের গুম-খুনের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে চাঁদাবাজি, টাকা পাচার এবং হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে ছিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলন।”

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যদি স্বৈরাচারদের কোনো সমিতি গঠিত হয়, তবে শেখ হাসিনা তার সভাপতি হবেন। মিথ্যার পিএইচডি করতে হলে হিটলারকেও শেখ হাসিনার কাছে আসতে হতো।”

এই মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামলার অন্যতম আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মানবতাবিরোধী অপরাধ স্বীকার করে এখন রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচিত।

গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে: দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যায় প্ররোচনা ও নির্দেশনা প্রদান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’।

প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনার অডিও রেকর্ড এবং অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছে। মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা, একজন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকসহ মোট ৮১ জন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ইএইচ