Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

মোবাইল গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় আইন প্রয়োগ জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মার্চ ১১, ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম


মোবাইল গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় আইন প্রয়োগ জরুরি

মোবাইল গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিযোগিতা, আইন ও এসএমপির প্রয়োগ জরুরি মনে করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘টেলিযোগাযোগ খাতে বাজার প্রতিযোগিতা, মুঠোফোন গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান।

তিনি বলেন, মার্কেটে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য কমিশন কাজ করবে। গ্রাহকদের অভিযোগ ও করণীয় বিষয়ক সুপারিশ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করার জন্য মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, আগামী মাসে আমরা গণশুনানী অনুষ্ঠিত করতে যাচ্ছি। যা হবে ৮টি বিভাগে। এছাড়াও অনলাইনে শুনানি অনুষ্ঠিত করা হবে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই ইনোভেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সাবেক সচিব) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, গ্রামের মানুষ নেটওয়ার্কের দুর্বলতা থাকলেও ব্যবহার করতে পেরেই খুশী। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাইলে নেটওয়ার্কের গতি বৃদ্ধির বিকল্প নাই। 

গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত তার বক্তব্যে বলেন, অপারেটরদের অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এখানে কোন একটি অপারেটর বেশী সুবিধা নিচ্ছে একথা ঠিক না। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি অপারেটরের বিজনেস পলিসির কারণেই তারা অগ্রগামী হয়। আর ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই তারা পিছিয়ে যায়। আমরা উন্নত সেবা দেওয়ার জন্যে কাজ করে যাচ্ছি। 

রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. ফজলে হুদা বলেন, ৫৭ শতাংশ রাজস্ব সরকারকে দিতে হয়। আর মাঝখানের কিছু অপারেটরদেরকে বা মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দিতে হয় ২১ শতাংশ। ২৬/২৭ টাকার মধ্যে আমাদেরকে অপারেশন পরিচালনা করতে হয়। এর মধ্যে যদি অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে তাহলে দু’একটি অপারেটর ঝরে পড়লে বাজারে মনোপলি প্রতিষ্ঠা হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে খুব দ্রুতই এসএমপি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

বাংলালিংক লিঃ এর চীফ রেগুলেটরি এ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান বলেন, ছোট অপারেটর হিসেবে আমরা খুব চাপে আছি। আমাদের প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ এবং স্ট্রাগল করতে হচ্ছে। এসএমপি বাস্তবায়িত হলে আমাদের সুবিধার পাশাপাশি নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ বা অন্য অপারেটর ব্যবসায় আসতে উৎসাহিত হবে। 
ফাইবার হোমের চীফ রেগুলেটরি অফিসার আব্বাস ফারুক তাদের নিজেদের বাজার প্রতিযোগিতায় চরম বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। 

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একসময় সিটিসেল বাজারে মনোপলি করতো। এরপর গ্রামীণ টেলিকম ইনকামিং এবং আউটগোয়িং উভয় কলে ১০ টাকা করে চার্জ নিত। আবারো সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একটি অপারেটর ৫২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে আর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ৩.৫ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এই বৈষম্যের কারণেই নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ বা দেশী বিনিয়োগ আসতে চাচ্ছে না টেলিকম খাতে। 

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, সংগঠনের উপদেষ্টা ড. কামরুজ্জামান, এড. বেলাল প্রমুখ। 

মূল প্রবন্ধে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক মোঃ খালেদ আবু নাছের।

বিআরইউ

Link copied!